Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইতিবাচক ধারায় রফতানি আয় ১০ মাসে আয় ৩ হাজার ৩৩৯ কোটি ৭২ লাখ ডলার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০১৯, ৭:৪০ পিএম

তৈরি পোশাক খাতের ওপর ভর করে ইতিবাচক ধারায় রয়েছে রফতানি আয়। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) তিন হাজার ৩৩৯ কোটি ৭২ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এ আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। এদিকে আগের মতোই রফতানি আয়ে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ৮৮ শতাংশেরও বেশি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। রফতানিকারকরা বলছেন, রফতানি আয়ে সুখবর নিয়েই অর্থবছর শুরু হয়েছিল। যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এর মূল কারণ দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক রফতানিতে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে অন্য খাতেরও আয় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এতে রফতানিতে বড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। তাদের প্রত্যাশা বছরের পরবর্তী মাসগুলোতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আর ইতিবাচক এ ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ১৯০ কোটি ডলার। এ সময়ে আয় হয়েছে তিন হাজার ৩৯৩ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রফতানি আয় ছিল তিন হাজার ৪০ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। প্রতিবেদনে দেখা যায়, একক মাস হিসেবে চলতি বছরের এপ্রিলে রফতানি আয় হয়েছে ৩০৩ কোটি ডলার। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে এ মাসে আয় কমেছে পাঁচ কোটি ডলার। গত বছরের এপ্রিলে এ আয় হয়েছিল ২৯৫ কোটি ডলার। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে মোট রফতানি আয়ে পোশাকের অবদান প্রায় ৮৩ শতাংশ। তবে হোমটেক্স, টেরিটাওয়েলসহ এ খাতের অন্য রফতানির উপখাত হিসাব করলে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ৮৮ শতাংশেরও বেশি হবে।

আলোচিত সময়ে তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয় এসেছে দুই হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত অর্থবছরের একই সমেয়ের তুলনায় রফতানি এ বছর প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পোশাক খাতে রফতানি আয় ছিল দুই হাজার ৬৭৪ কোটি ডলার।

ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে বড় খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ৪৫ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় কৃষিপণ্য রফতানিতে। এ খাত থেকে আয় এসেছে ৫৪ কোটি ৩১ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এ খাতে আয় হয়েছে আট কোটি ১১ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। এদিকে আলোচিত সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে। একই সঙ্গে অর্জন হয়নি লক্ষ্যমাত্রাও। পাট ও পাটজাত খাত থেকে এপ্রিল শেষে রফতানি আয় এসেছে ৬৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম। এছাড়া চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। প্রবৃদ্ধিও গত বছরের চেয়ে ৮ দশমকি ৬৯ শতাংশ কমেছে। আলোচিত সময়ে এ খাতে আয় হয়েছে ৯১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অর্থনীতি

৩ জানুয়ারি, ২০২৩
২১ নভেম্বর, ২০২২
১৭ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ