পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : উন্নয়ন নিশ্চিতের পাশাপাশি সরকার দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত অন সেওং ডু গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করতে গেলে শেখ হাসিনা একথা বলেন।পরে কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আদেল মোহাম্মদ এএইচ হায়াত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।
দুই রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, তথ্য-প্রযুক্তি খাতের রপ্তানির বাড়ানোর ওপর সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে বলে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।
কোরিয়ার রাষ্ট্রুদত বলেছেন, তার দেশ মহেশখালীকে ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ বানানোর কাজ করছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের মডেল হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদুত।
মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পৌঁছতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন তিনি।
কোরিয়ায় বাংলাদেশের ১৪ হাজার অভিবাসী থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা খুবই কর্মদক্ষ। কোরিয়া সরকার তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও আবাসন নিশ্চিতের সব ব্যবস্থা করেছে।
ইহসানুল করিম বলেন, কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আদেল মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের উন্নয়নে তার দেশের সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা জানান।কুয়েতে ইরাকি আগ্রাসনের সময় বাংলাদেশের সেনা পাঠিয়ে সহায়তার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, কুয়েত বাংলাদেশের কাছে ঋণী। কুয়েতে বাংলাদেশের অভিবাসীরা কঠোর পরিশ্রমী বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কুয়েতে আরও দক্ষ মানবসম্পদ পাঠানোর আগ্রহের কথা জানান।
বাংলাদেশের মানুষের মনে কুয়েতের বিশেষ স্থান রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কুয়েত বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর কুয়েত সফরের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চীনা ভাষায় অনুদিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর :
চীনা ভাষায় অনুদিত বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বিকেলে গণভবনে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
মোড়ক উন্মোচন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ বই শুধু বাংলাদেশের নয়, উপমহাদেশের ইতিহাসের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
আঞ্চলিক দারিদ্র্য বিমোচনে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এ অঞ্চলের (দক্ষিণ এশিয়া) মানুষের সমস্যা এক। এসব সমস্যার সমাধান সবাই মিলে করতে হবে। এ অঞ্চলের মানুষ দরিদ্র অবস্থা থেকে উঠে আসবে, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানে বইটির অনুবাদক বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত চাই সি উপস্থিত ছিলেন।
চাই সি বলেন, এ বইটি বিক্রি করে যা আয় হবে তার সবটুকু বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।