Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাপানে প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা

প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : জি-সেভেন আউটরিচ মিটিংয়ে যোগ দিতে জাপানের নাগোয়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজে করে নাগোয়ার শুবু সেন্ট্রাইয়ার বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ওড়ানো হয় বাংলাদেশ ও জাপানের জাতীয় পতাকা। জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার মিকি ইয়ামাদা, রাষ্ট্রাচার প্রধান কাওরু শিমাজাকি, আইচি প্রিফ্যাকচারের ডেপুটি গভর্নর হাজিমে নাকানিশি এবং জাপানে বাংলাদেশের হাই কমিশনার রাবাব ফাতিমা বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।
তিনি উড়োজাহাজ থেকে নেমে এলে জাপানের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত এক তরুণী তার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন। পরে জাপানের সামরিক বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল শেখ হাসিনাকে সশস্ত্র সালাম জানায়। শহরের প্রান্তে ওই বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘নাগোয়া হিলটন’ হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় মোটর শোভাযাত্রা করে। এই সফরে নাগোয়ায় তিন দিন অবস্থানকালে সেখানেই থাকবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মতলুব আহমাদের নেতৃত্ব ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আক্তারুজ্জামান এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকার শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা হন শেখ হাসিনা। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
শুক্রবার দিন প্রধানমন্ত্রী সিমা কানকো হোটেলে জি-৭ সম্মেলনের আউটরিচ বৈঠকে যোগ দেবেন এবং সেখানে বক্তব্য প্রদান করবেন। এছাড়া, জি-৭ আউটরিচ লিডারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্কিং লাঞ্চে অংশ নেবেন এবং সেখানেও বক্তৃতা করবেন। প্রধানমন্ত্রী একইদিনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হবেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রী শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মিরথিপালা শ্রিসেনার সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র সঙ্গেও এদিন তার বৈঠকের কথা রয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী জাপানের রাজধানী টোকিও’র উদ্দেশ্যে ট্রেনে নাগোয়া ত্যাগ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি টোকিওতে নবনির্মিত চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করবেন।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রাতঃরাশ বৈঠকে মিলিত হবেন এবং সেখানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সংস্থা এফবিসিসিআই এবং জাপানের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সংস্থা ‘জেটরো’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবার কথা রয়েছে। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী জাপান প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের হেনাদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিমানের একটি ফ্লাইটে টোকিও ত্যাগ করবেন। রাত ১১টা ৪৫ (ঢাকার স্থানীয় সময়) মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটির ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ছাড়াও লাও পিডিআর (লাওস), ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, শ্রীলংকা এবং শাদকে জি-৭’র আউটরিচ বৈঠকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই আইটরিচ বৈঠক জি-৭ সম্মেলনের অংশ হিসেবে ২৬ এবং ২৭ মে অনুষ্ঠিত হবে। শিল্পোন্নত জি-৭ গ্রুপের সদস্যরা হচ্ছে- কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানী, ইটালী, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও প্রতিনিধিত্ব করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাপানে প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ