পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রমজানের শুরুতেই গরুর গোশত দামে রেকর্ড গড়েছে। গতকাল একদিনের গরুর গোশতের দাম ৫০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা বেড়ে গেছে। আর রাজধানী ঢাকায় মাত্র এক বছরের ব্যবধানে গরুর গোশতের দাম বাড়েছে ১৫০ টাকা। এরমধ্যে সিটি করপোরেশন নির্ধারণ করে বাড়িয়েছে ৭৫ টাকা। আর নিজেদের খেয়ালখুশি মতো ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছেন আরো ৭৫ টাকা। সব মিলিয়ে এই রমজানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গরুর গোশতের বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে। যা গরুর গোশতের দামের ক্ষেত্রে এক নতুন মাইলফলকই বলা যায়! কারণ এই দাম শোনার পর অনেককেই এই প্রিয় খাবার ছাড়ার কথা বলতে শোনা যাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শনির আখড়া বাজারে গরুর গোশত বিক্রি হয়েছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা দরে। কল্যাণপুর নতুন বাজারে গরুর গোশতের বিক্রি হতে দেখা গেছে ৬০০ টাকা কেজি। রাজধানীর নিউ মার্কেট, হাতিরপুল, রামপুরা, মালিবাগ, ফার্মগেইটসহ অন্যান্য কাচা বাজারেও প্রায় অভিন্ন। রোজার শুরুতে গরুর গোশতের এই ঊর্ধ্বমুখী দামে হতাশ ক্রেতারা। যদিও রমজান উপলক্ষে সিটি করপোরেশন থেকে ৫২৫ টাকা কেজি দরে গরুর গোশত বিক্রির জন্য দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সিটি করপোরেশনের ধার্যকৃত মূল্যের চেয়ে কোথাও ৫০ টাকা কোথাও ৭৫ টাকা আবার কোথাও ১০০ টাকা বেশি দরে গরুর গোশত বিক্রি করতে দেখা গেছে। গত বছরের রোজার সময় সিটি করপোরেশন গরুর গোশতের দাম নির্ধারণ করে ৪৫০ টাকা। এ বছর তা বাড়িয়ে করা হয় ৫২৫ টাকা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে ৬০০ টাকা করে। যা গত বছরের তুলনায় দেড়শ টাকা বেশি। রোজা শুরুর আগের দিন গত সোমবার ডিএসসিসির নগর ভবনে গোশতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সব ধরনের গোশতের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। নবনির্ধারিত দাম অনুসারে প্রতি কেজি দেশি গরুর গোশত ৫২৫ টাকা, বিদেশি গরুর গোশত ৫০০ ও মহিষের গোশত ৪৮০, খাসির গোশত ৭৫০ এবং ভেড়া ও ছাগীর গোশত ৬৫০ টাকা ধরে বিক্রির জন্য দাম বেঁধে দেয়া হয়। গোশতের নবনির্ধারিত দামের ক্ষেত্রে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সেজন্য ৭ মে থেকেই বাজারে থাকবে ডিএসসিসির বাজার মনিটরিং টিম। কোনো ব্যবসায়ীর অনিয়মের অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়া গেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যদিও ডিএসসিসির ঘোষণায় বলা হয় বেঁধে দেয়া এই দাম না মানলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেসময় মেয়র বলেছিলেন, ‘আমরা এর আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন দ্রব্যমূল্য গতবছরের তুলনায় এবার কোনোভাবেই বাড়বে না। বরং কিছুটা হলেও কমবে। হোটেল রেস্তোরাঁর মালিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছি। তারাও যাতে খাবার স্থাস্থ্যসম্মত রাখেন সে জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ জানতে চাইলে রাজধানী ঢাকার গোশতের ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, গত তিন বছরে বাংলাদেশে গোশতের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। চাঁদাবাজরা যদি পশুর ওপর চাঁদাবাজি বন্ধ করে, তাহলে এখনো গরুর গোশত কেজি প্রতি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করা সম্ভব। সীমান্ত থেকে গাবতলী পর্যন্ত আসার পথে সরকারি নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বহু গুণ বেশি খাজনা ইজারাদারেরা অবৈধভাবে আদায় করছে। আর পথে পথে চাঁদাবাজি রয়েছে। পশুর ওপর সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বেশি চাঁদা আদায় করা গোষ্ঠীকে ঠেকাতে না পারার জন্য মূলত সিটি কর্পোরেশনের আন্তরিকতার দায়ী। কর্পোরেশন চাইলে এই চাঁদাবাজি এক মিনিটে বন্ধ করতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।