Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গরুর গোশতের দামে রেকর্ড

কেজিতে এক বছরে বেড়েছে ১৫০ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রমজানের শুরুতেই গরুর গোশত দামে রেকর্ড গড়েছে। গতকাল একদিনের গরুর গোশতের দাম ৫০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা বেড়ে গেছে। আর রাজধানী ঢাকায় মাত্র এক বছরের ব্যবধানে গরুর গোশতের দাম বাড়েছে ১৫০ টাকা। এরমধ্যে সিটি করপোরেশন নির্ধারণ করে বাড়িয়েছে ৭৫ টাকা। আর নিজেদের খেয়ালখুশি মতো ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছেন আরো ৭৫ টাকা। সব মিলিয়ে এই রমজানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গরুর গোশতের বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে। যা গরুর গোশতের দামের ক্ষেত্রে এক নতুন মাইলফলকই বলা যায়! কারণ এই দাম শোনার পর অনেককেই এই প্রিয় খাবার ছাড়ার কথা বলতে শোনা যাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শনির আখড়া বাজারে গরুর গোশত বিক্রি হয়েছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা দরে। কল্যাণপুর নতুন বাজারে গরুর গোশতের বিক্রি হতে দেখা গেছে ৬০০ টাকা কেজি। রাজধানীর নিউ মার্কেট, হাতিরপুল, রামপুরা, মালিবাগ, ফার্মগেইটসহ অন্যান্য কাচা বাজারেও প্রায় অভিন্ন। রোজার শুরুতে গরুর গোশতের এই ঊর্ধ্বমুখী দামে হতাশ ক্রেতারা। যদিও রমজান উপলক্ষে সিটি করপোরেশন থেকে ৫২৫ টাকা কেজি দরে গরুর গোশত বিক্রির জন্য দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সিটি করপোরেশনের ধার্যকৃত মূল্যের চেয়ে কোথাও ৫০ টাকা কোথাও ৭৫ টাকা আবার কোথাও ১০০ টাকা বেশি দরে গরুর গোশত বিক্রি করতে দেখা গেছে। গত বছরের রোজার সময় সিটি করপোরেশন গরুর গোশতের দাম নির্ধারণ করে ৪৫০ টাকা। এ বছর তা বাড়িয়ে করা হয় ৫২৫ টাকা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে ৬০০ টাকা করে। যা গত বছরের তুলনায় দেড়শ টাকা বেশি। রোজা শুরুর আগের দিন গত সোমবার ডিএসসিসির নগর ভবনে গোশতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সব ধরনের গোশতের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। নবনির্ধারিত দাম অনুসারে প্রতি কেজি দেশি গরুর গোশত ৫২৫ টাকা, বিদেশি গরুর গোশত ৫০০ ও মহিষের গোশত ৪৮০, খাসির গোশত ৭৫০ এবং ভেড়া ও ছাগীর গোশত ৬৫০ টাকা ধরে বিক্রির জন্য দাম বেঁধে দেয়া হয়। গোশতের নবনির্ধারিত দামের ক্ষেত্রে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সেজন্য ৭ মে থেকেই বাজারে থাকবে ডিএসসিসির বাজার মনিটরিং টিম। কোনো ব্যবসায়ীর অনিয়মের অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়া গেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যদিও ডিএসসিসির ঘোষণায় বলা হয় বেঁধে দেয়া এই দাম না মানলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেসময় মেয়র বলেছিলেন, ‘আমরা এর আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন দ্রব্যমূল্য গতবছরের তুলনায় এবার কোনোভাবেই বাড়বে না। বরং কিছুটা হলেও কমবে। হোটেল রেস্তোরাঁর মালিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছি। তারাও যাতে খাবার স্থাস্থ্যসম্মত রাখেন সে জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ জানতে চাইলে রাজধানী ঢাকার গোশতের ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, গত তিন বছরে বাংলাদেশে গোশতের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। চাঁদাবাজরা যদি পশুর ওপর চাঁদাবাজি বন্ধ করে, তাহলে এখনো গরুর গোশত কেজি প্রতি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করা সম্ভব। সীমান্ত থেকে গাবতলী পর্যন্ত আসার পথে সরকারি নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বহু গুণ বেশি খাজনা ইজারাদারেরা অবৈধভাবে আদায় করছে। আর পথে পথে চাঁদাবাজি রয়েছে। পশুর ওপর সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বেশি চাঁদা আদায় করা গোষ্ঠীকে ঠেকাতে না পারার জন্য মূলত সিটি কর্পোরেশনের আন্তরিকতার দায়ী। কর্পোরেশন চাইলে এই চাঁদাবাজি এক মিনিটে বন্ধ করতে পারে।



 

Show all comments
  • Aminul Jony ৮ মে, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
    আগে দাম কম ছিলো।সকালের গরুর মাংস সকালেই শেষ হয়ে যেতো ভালো কসাইয়ের।এখন সকালের মাংস রাত পর্যন্ত দেখি ঝুলায় নিয়া বসে আছে। তবে দাম বাড়ায় মানুষের বিফ কম খাবার ফলে কোলেষ্টোরেল শরীরে কম জমছে।এটা একটা ভালো দিক।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahfuj Ahmed ৮ মে, ২০১৯, ১:৩১ এএম says : 0
    মাননীয় মেয়র সাহেব রাস্তায় সোনার ছেলেদের চাঁদাবাজিতে বসাইয়া এখন আসছেন ব্যবসায়ীদের শাস্তি দিতে?মিডিয়ায় হাইলাইটস হইতে? মাননীয় মেয়র সাহেব সম্ভব হলে আগে রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধ করেন তাহলে দাম এমনেই কমে যাবে,,,,
    Total Reply(0) Reply
  • Ahammed Amirath Ashique ৮ মে, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
    পৃথিবীর কোন দেশে বাংলাদেশের মত এত দাম কোন জিনিষের নেই।কোন ভাবেই কেউ নিয়ন্ত্রন করতে পারে না।ভারতের কিছু ব্যবসাইর সাথে এক হয়ে বাংলাদেশের কিছু মুনাফা খোর ব্যবস্যায়ি জনগনের উপর খাদ্য জুলুম শুরু করে মানুষকে জিম্মি করে প্রতি রমজানে।
    Total Reply(0) Reply
  • Manik Muhammad ৮ মে, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
    সল্যুশন তো দিয়েই দিয়েছে, তবে সমাধান হয় না ক্যানো ?এটা কার গাফিলতি? "চাঁদাবাজরা যদি পশুর ওপর চাঁদাবাজি বন্ধ করে, তাহলে কেজি প্রতি ৩০০ টাকায়ও মাংস বিক্রি করা সম্ভব।"
    Total Reply(0) Reply
  • Abid Hassan ৮ মে, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
    যারা রোজার মাসে অবৈধ ভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় তারা যেন জাহান্নামে যায়। পৃথিবীর সব দেশে রোজা আসলে জিনিসের দাম কমে, অফার দেয় বিভিন্ন কোম্পানী গুলো। আর আমাদের বাংলাদেশে হয় ঠিক তার উল্টোটা।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazmul Haque ৮ মে, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
    "কর্পোরেশন চাইলে এই চাঁদাবাজি এক মিনিটে বন্ধ করতে পারে। কিন্তু যেহেতু এখানে কোটি কোটি টাকার স্বার্থ জড়িত, তাই আন্তরিকতার অভাব আর কিছু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে চাঁদাবাজি বন্ধ করা যাচ্ছ না।"
    Total Reply(0) Reply
  • Shohan Khan ৮ মে, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
    যারা এই চাঁদাবাজি করে তারা পাওয়ার পক্ষের লোক , একারনেই চাদাবাজি বন্ধ হবেনা এবং দাম ও বাড়িয়েই বেচবে , সিটি কপ আগ বাড়িয়েই দাম বেশি করে দিয়েছে , তাদের চাদাবাজরা যেন ঈদে ভালোমন্দ কিছু খেতে পারে
    Total Reply(0) Reply
  • Ahsanul Haque Asha ৮ মে, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
    সীমান্ত থেকে গাবতলী পর্যন্ত আসার পথে সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বহু গুণ বেশি খাজনা ইজারাদারেরা অবৈধভাবে আদায় করছে বলেই মূলত গরুর মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Rasel Sarker ৮ মে, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
    বাঙালী ব্যাবসা করতে পারবে না। আর ব্যাবসা করার পরিবেশ ও নাই বাংলাদেশে। পথে ঘাটে চাদা দিয়ে দিয়ে পন্য পরিবহন যে কতটা বিরক্তিকর.... একদিকে পুলিশের চাদা অন্যদিকে চাদাবাজ দের চাদা।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Ismail ৮ মে, ২০১৯, ৯:২৭ এএম says : 0
    উন্নয়নের ঠেলা, সর্বশান্ত হচ্ছেন জনগন।
    Total Reply(0) Reply
  • Jashim Uddin ৮ মে, ২০১৯, ৯:২৮ এএম says : 0
    মাত্র শুরু, আরো হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Faruk Noyaem ৮ মে, ২০১৯, ৯:২৮ এএম says : 0
    আরো বাড়াও যত পারো
    Total Reply(0) Reply
  • monir ৮ মে, ২০১৯, ১১:০৮ এএম says : 0
    মানুষের বিবেগ ধ্বংস হয়ে গেছে তাই যা ইচ্ছে তাই করছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রমজান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ