পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720361495](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ২০১৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের অর্থ চুরিতেও ‘সুইফট নেটওয়ার্ক’ ব্যবহার করা হয়েছিল।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৮১০ কোটি টাকা) চুরির তদন্তে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। অর্থ চুরির ঘটনা তদন্ত করছে বাংলাদেশ পুলিশ। তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তারা বুধবার (২৫ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, ২০১৩ সালে সোনালী ব্যাংকের সেই আড়াই লাখ ডলার চুরির সময়ও সুইফট পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়েছিল। সোনালী ব্যাংকের অর্থ চুরির ঘটনাটি সে সময় খুব একটা আলোচনায় আসেনি। ওই সময়ের সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদও বিষয়টি আড়াল করেছিল। ঘটনার এক বছর পর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের তখনকার সচিব এম আসলাম আলম সোনালী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে ওই ঘটনা প্রকাশ করার আগ পর্যন্ত বিষয়টি বাংলাদেশের মানুষের কাছেও অজানা ছিল।
সোনালী ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, সোনালী ব্যাংকের চুরিতে সেই একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে যা সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরিতে ব্যবহার করা হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের চুরি হয়ে যাওয়া সে অর্থ উদ্ধার করতে পারেনি বাংলাদেশ। সে অর্থ তুরস্কে চলে গিয়েছিল। সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, হ্যাকাররা ‘সুইফট মানি ট্রান্সফার’ পদ্ধতি ব্যবহার করে দুই ব্যাংক থেকেই অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির প্রকৃত দোষীদের খুঁজতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ এখন সোনালী ব্যাংকের সেই ঘটনার পুনরায় তদন্ত করে দেখছে।
সোনালী ব্যাংকের আইটি বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানায়, হ্যাকাররা ‘কি-লগার’ সফটওয়্যার ইন্সটল করে পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়ে সুইফটে প্রতারণাপূর্ণ অর্থ স্থানান্তরের অনুরোধ জানায়। সেই সময় পুলিশ ব্যাংকের দুই কর্মীকে আটক করলেও তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ না পাওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির কৌশলের সঙ্গে মিল থাকায় এ ঘটনার তদন্তে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা সোনালী ব্যাংকের ঘটনাটি নতুন করে খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। দুই ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি না, সে বিষয়টিও তারা বোঝার চেষ্টা করছেন। পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, এটা ইন্টারেস্টিং। এটা আমাদের দেখতে হবে।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত রয়টার্সকে জানান, বড় একটি গোষ্ঠী ওই সময় ব্যাংকে হামলা চালিয়েছিল। হ্যাকিং বা চুরি হয়ে যাওয়া অর্থ আজও উদ্ধার সম্ভব হয়নি। জড়িতরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে। একই সঙ্গে ওই সময় কি হয়েছিল আমরা তা ধরতেই পারিনি।
সোনালী ব্যাংকের অর্থ চুরির ঘটনা সুইফটের বিরুদ্ধে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ৪র্থ অভিযোগ। তবে দুটি ঘটনাই একই ব্যক্তি করেছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এসব ব্যাংকের অর্থ চুরির ঘটনায় সুইফটের নিরাপত্তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সারা বিশ্বের প্রায় ১১ হাজার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সুইফট ব্যবহার করে। সোনালী ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনা তদন্ত করছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং সুইফটের মুখপাত্র নাতাশা দে তেরান।
রয়টার্স বলছে, সোনালী ব্যাংকের ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি সুইফটের মুখপাত্র নাতাশা দা তেরান। দুদকও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সাইবারের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে নিউইয়র্ক ফেডে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কায় আর বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার গেছে ফিলিপাইনে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির এই ঘটনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সুইফটের নিরাপত্তা ব্যবস্থার খুঁত নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়। তবে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের মেরুদ-ে পরিণত হওয়া এই সমবায় প্রতিষ্ঠানটি তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।