পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : দরপতনের বৃত্তে বন্দি হয়ে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বৃহস্পতিবার চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও দেশের উভয় বাজারে সূচকের পতন হয়েছে। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসই ব্রড ইনডেক্সের (ডিএসইএক্স) পতন হয়েছে ১২.৪০ পয়েন্ট। এর ফলে দিনশেষে সূচক গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫৭৩.৫৮ পয়েন্টে।
এ নিয়ে টানা ৭ কার্যদিবসে সূচকের পতনে শেষ হয়েছে ডিএসইর লেনদেন। আর এ সময়ে সূচকের পতন হয়েছে ১২৩.৯২ পয়েন্ট। সর্বশেষ ১৯ জানুয়ারি ১০ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসইএক্স ৪৬৯৭ পয়েন্টে উঠে এসেছিল। কিন্তু এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে পতন ঘটছে বাজারে।
বাজারে ধারাবাহিক পতন হলেও এর কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না বিশেষকরা।
বাজার সংশিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে একমি ল্যাবরেটরিজের বিডিং শুরু হচ্ছে। বিডিং প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বড় অংকের অর্থ বরাদ্দ করছেন। এ জন্য বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে একটি সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাজারের জন্য এটি বড় কোনো কারণ হতে পারে না। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে বাজারে এক ধরনের গুঞ্জন রয়েছে। এ ধরনের গুঞ্জনের কারণে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।
তবে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা কারণে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে বলে সংশিষ্ট অনেকেই মনে করছেন। আস্থা সংকটের কারণে বাজারে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বলে তাদের ধারণা। তবে বৃহস্পতিবার ডিএসই কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বাজারে আস্থার সংকট নেই। তবে তিনি বাজারে কিছুটা ক্রেতা সংকট রয়েছে বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে ডে-ট্রেডারের সংখ্যা কম রয়েছে তুলনায় দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেশি। ডে-ট্রেডারের সংখ্যা কম থাকার কারণে বাজারে যে পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হওয়ার কথা তা হচ্ছে না।
এদিকে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩২১টি ইস্যুর মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ৯৯টির, কমেছে ১৭৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির দর।
এদিকে বুধবার কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৯টি হাউসে লেনদেনে বিঘœ ঘটে। এর মধ্যে কয়েকটি হাউসে আদৌ কোনো লেনদেন হয়নি। এ কারণে বুধবার লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছিল। বৃহস্পতিবার লেনদেনে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটেনি। তারপরও লেনদেনে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেনি। দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪০৫ কোটি ৪ লাখ টাকা। বর্তমান বাজারের গভীরতা অনুযায়ী দৈনিক এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা লেনেদেন হওয়া উচিত বলে বিশেষকরা মনে করেন।
লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। দিনশেষে কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৭৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ২ লাখ ৫১ হাজার টাকা। ১২ কোটি ৫৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইটি কনসালটেন্টস।
লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমেÍ বিডি থাই, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, এমারল্ড অয়েল, ঢাকা ডাইং, বেক্সিমকো ফার্মা, প্রিমিয়ার সিমেন্ট।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসসিএক্স ১২.৭৬ পয়েন্ট কমে দিনশেষে ৮৫৬৬.২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৭টির, কমেছে ১৪৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।