Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্কে ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স ফেয়ারে যোগ দিল খুলনা শিপইয়ার্ড

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৯, ৪:৩৫ পিএম | আপডেট : ৫:১১ পিএম, ৭ মে, ২০১৯

খুলনা শিপইয়ার্ড প্রথমবারের মত তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স ইন্ডাষ্টিজ ফেয়ার-২০১৯’এ সাফল্যজনকভাবে অংশ গ্রহন করল। গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৩মে পর্যন্ত এ ফেয়ারে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর অধিভূক্ত খুলনা শিপইয়ার্ড তাদের নির্মিত বিভিন্ন সমর নৌযানসমুহের মডেল উপস্থাপন করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক অংশগ্রহনকারী খুলনা শিপইয়ার্ডের প্যাভেলিয়ান আগ্রহের সাথে পরিদর্শন করে প্রতিষ্ঠানটির সমর নৌযান সহ বিভিন্ন ধরনের মেরিটাইম সামগ্রী সম্পর্কে আগ্রহ প্রদর্শন করেছে বলে জনা গেছে। খুলনা শিপইয়ার্ড-এর জিএম-ডিজাইন এন্ড প্লানিং ক্যাপ্টেন শহিদুল্লাহ আল ফারুকÑবিএন’এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি এ মেলায় অংশ নেয়।
তুরস্কের রাজধানীতে প্রতি দু বছর অন্তর ‘ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স ইন্ডাষ্ট্রিজ ফেয়ার’ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এবারের মেলায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, রাশিয়া, পাকিস্তান, আজারবাইজান, চীন, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিন কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড, বসনিয়া, জর্ডান, ফ্রান্স ও জার্মেনি সহ বিশ্বের আরো অনেক দেশ অংশ গ্রহন করে। ফেয়ারে অংশ গ্রহনের ফলে খুলনা শিপইয়ার্ডের পরিচিতি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও ছড়িয়ে পড়ল।
১৯৫৭সালে প্রতিষ্ঠিত খুলনা শিপইয়ার্ড স্বাধিনতার পরে ক্রমে একটি রুগ্ন শিল্পে পরিনত হতে শুরু করে। দেড় শতাধীক কোটি টাকা লোকশান ও দায়দেনার এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি বিরাষ্ট্রীয়করনের সিদ্ধান্ত গ্রহনের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ক্রেতার অভাবে তা বিক্রী করারও সম্ভব হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে প্রায় পৌনে ২শ কোটি টাকার লোকাশ ও দায়দেনা নিয়ে খুলনা শিপইয়ার্ড বাংলাদেশ নৌবাহনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি একসময়ের এ লোকশানী প্রতিষ্ঠানটিকে। সব দায়দেনা কাটিয়ে খুলনা শিপইয়ার্ড গত প্রায় ২০ বছরে ৫শতাধীক কোটি টাকা মুনফা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি কর্মকর্তাÑকর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দের সততা, নিরলশ প্রচেষ্টা ও আšতরিকতার মাধ্যমেই।
খুলণা শিপইয়ার্ড ইতোমধ্যেই সাবমেরিন টাগ ছাড়াও বড় মাপের যুদ্ধ জাহাজ, সেলফ প্রপলড ক্রেন বার্জ, পেট্রোল ক্রাফট, হাইড্রোগ্রাফী সার্ভে ভেসেল, অয়েল ট্যাংকার, কন্টেইনার ভেসেল, কার্গো ভেসেল ও যাত্রীবাহী নৌযান তৈরী ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নৌযান এবং ড্রেজার-এর পূণর্বাশন সহ মেরামত সম্পন্ন করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ