পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশের একমাত্র জ্বালানী তেল ও গ্যাস আমদানীকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) তার অধীনস্থ বিপণন ও বিতরণ কোম্পানী পদ্মা অয়েল কো. লি., মেঘনা পেট্রোলিয়াম লি., যমুনা অয়েল কো. লি. ও স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কো. লি.-এর মাধ্যমে সারাদেশে ডিলার পর্যায়ে জ্বালানী তেল সরবরাহ করে থাকে। জ্বালানী তেল আমদানীর যাবতীয় খরচ বিপিসি’র নিজস্ব অর্থায়নে করা হলেও ডিলার পর্যায়ে তেল বিক্রির টাকা চলে যায় বিপণন ও বিতরণ কোম্পানীর কাছে। এই টাকা হিসাব নিকাশ করে বিপিসি’র কাছে ফেরত দিতে কোম্পানীগুলোর লাগে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময়। এমনকি কোন ইনভয়েসের বিপরীতে কত টাকা বাকী আছে, সেই হিসাব মিলাতে হিমসিম খাচ্ছে খোদ বিপিসি। হিসাব মিলাতে অডিটর নিয়োগ দিয়েও কুল কিনারা করতে পারছে না বিপিসি-এই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ বিপিসি’র চেয়ারম্যান মো. আকরাম আলী হোসাইন। জানা যায়, ডিলার পর্যায়ে ১ লিটার ডিজেল বিক্রি হয় ৬২ দশমিক ৫২ টাকায়, যার মধ্যে আমদানী খরচ বাবদ বিপিসি’র পাওনা ৫৯ দশমিক ৮১ টাকা আর বিতরণ খরচ বাবদ বিপণন কোম্পানীর পাওনা মাত্র ২ দশমিক ৭১ টাকা। তেল বিক্রির পুরো টাকাটাই বিপণন কোম্পানীর কাছে মাসের পর মাস পড়ে থাকে। অথচ সরকারী রাজস্ব খাত থেকে আমদানীর ব্যয় নির্বাহকারী প্রতিষ্ঠান বিপিসি’র ক্ষতির পরিমান দাড়ায় বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এছাড়াও ডিপোগুলোতে তেলের মজুদ ও সরবরাহের হিসাব পেতে বিপিসি’কে দ্বারস্থ হতে হয় বিপণন কোম্পানীর কাছে, যার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুল কিংবা অসম্পূর্ণ হওয়ায় জ্বালানী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত এই প্রতিষ্ঠান অনেক ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। এই প্রেক্ষাপটে সমস্যগুলি উত্তরণের বাস্তব সমাধান হিসেবে ডিজিটালাইজ করা হবে বিপিসি তথা সকল বিপণন কোম্পানীর জ্বালানী তেল ও গ্যাস বিক্রীর অর্থ আদায় কার্যক্রম।
সূত্র মতে, অটোমেশন প্রক্রিয়ায় আগের মতই ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার সুযোগ থাকলেও সেটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিশেষ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আদায়ের সাথে সাথেই বিপিসি ও আদায়কারী কোম্পানীর পাওনা বিভিন্ন খাতে সয়ংক্রিয়ভাবে বিভাজিত হবে ও সুনির্দিষ্ট সময়েই অটোমেশন প্রক্রিয়ায় সয়ংক্রিয়ভাবে বিপিসি ও আদায়কারী কোম্পানীর ব্যাংকের হিসাবে চলে যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের সকল শাখায় এই আদায় কার্যক্রম চালানো হবে। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সকল বানিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে এর আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিপিসির চেয়ারম্যান। মো. আকরাম আলী হোসাইন বলেন, বিপিসি’র জ্বালানী তেলের বিক্রয় লব্ধ অর্থ আদায়ে এই অটোমেশন কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও এই অটোমেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, বিপিসি ও বিতরণ কোম্পানীগুলি বিভিন্ন একীভুত রিপোর্ট তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়ায় দেশে জ্বালানী তেলের সরবরাহ ও মজুদের একটি সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে, যা দেশের জ্বালানী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।