পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, খালেদা জিয়া আপসহীন নেত্রী। তিনি অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করেননি। তিনি যদি আপস করতেন তাহলে শুধু জেল থেকে মুক্তিই পেতেন না, অনেক আগে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীও হতে পারতেন। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে’ জিয়া আদর্শ একাডেমি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি লন্ডনে খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে বৈধ বা অবৈধ যাই বলি না কেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীকে শপথ নেয়ার সময় বলতে হয়, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুরাগ-বিরাগের ঊর্ধ্বে থাকিব।’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে যে বেফাঁস কথা বললেন, তাকে যদি অপমানজনকভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। এখানে তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন বলে আমি মনে করি।
খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘লন্ডনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কারণ, তারেক রহমান নাকি তার লন্ডন সফরে বাধা সৃষ্টি করেছেন যে, তিনি হোটেল পাচ্ছেন না। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারেক রহমান যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে তার মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। এতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসা স্পষ্ট হয়েছে। আমরা দেখতে পেলাম আগেও আমরা যা বলেছি, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আটক করে রাখা হয়েছে।
নেতাকর্মীদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচাতে এবং নেতাকর্মীদের জেল থেকে বের করতে হলে রাজপথ উত্তপ্ত করতে হবে।
মাহবুব বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা যদি একবার রাজপথে নামে তাহলে লাখ লাখ জনতা রাজপথে নামবে। তিনি আরো বলেন, দিন-তারিখ ঠিক করে নয়, একবার রাজপথে নামুন, হাজারো নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করুন; দেখবেন এই সরকারের পায়ের নিচের মাটি থাকবে না।
বিএনপির এই আইনজীবী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এমনি এমনি মুক্তি পাবেন না। তার মুক্তি পেতে হলে সরকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে আর না হলে রাজপথে নামতে হবে। আসুন, যারা যারা অতীতে ছাত্র আন্দোলন করেছিলেন সে নেতাকর্মীদের ডেকে রাজপথে নামি এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো: আজম খানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, কৃষক দলের আহ্বায়ক সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এম জাহাঙ্গীর আলম, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।