পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্বল ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে বন্দরনগরীতে ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টির কারণে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম নগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান শুরু করে। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ফণির প্রভাবে অতিবৃষ্টির কারণে যে কোনো সময়ে পাহাড় ধসের মতো ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। তাই আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। গতকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সার্কেলের সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করা লোকজনকে জেলা প্রশাসনের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়। পাশাপাশি এসব পাহাড়ে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
জানা যায়, নগরীতে ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০টি ও সরকারি মালিকানাধীন ৭টিসহ মোট ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় রয়েছে। এসব পাহাড়ে ‘মৃত্যুঝুঁকি’ নিয়ে বাস করছে প্রায় ৮৩৫ পরিবার। গত ১৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৯তম সভায় এসব পরিবারের লোকজনকে সরিয়ে পাহাড় খালি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এসব পাহাড়ে ইউটিলিটি সার্ভিস (সেবা সংযোগ) বিচ্ছিন্ন এবং ১৫ মের মধ্যে পাহাড় খালি করার নির্দেশ দেন পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীকে কেন্দ্র করে নগরীতে ৭২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া লোকজনকে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।