পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের নাগোয়া শহরে অনুষ্ঠিতব্য শিল্পোন্নত দেশসমূহের সম্মেলন জি৭-এর আউটরিচ বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে চার দিনের সরকারি সফরে জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ১০টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি নাগোয়ার চুবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭টা ১৫ মিনিটে (জাপানের স্থানীয় সময়) অবতরণের কথা রয়েছে। জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার মিকি ইয়ামাদা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। জাপানের ইসেসিমাতে ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো বিনির্মাণে সহযোগিতা সংশ্লিষ্ট চারটি মৌলিক বিষয়ে আলোচনায় নেতৃত্বশীল ভূমিকা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সিমা কানকো হোটেলে জি-৭ সম্মেলনের আউটরিচ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং সেখানে বক্তব্য প্রদান করবেন। এছাড়া, জি-৭ আউটরিচ লিডারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্কিং লাঞ্চে অংশ নেবেন এবং সেখানেও বক্তৃতা করবেন। প্রধানমন্ত্রী একই দিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হবেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনার সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবের সঙ্গেও এদিন তার বৈঠকের কথা রয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী জাপানের রাজধানী টোকিওর উদ্দেশে ট্রেনে নাগোয়া ত্যাগ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি টোকিওতে নবনির্মিত চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করবেন।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট বৈঠকে মিলিত হবেন এবং সেখানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সংস্থা এফবিসিসিআই এবং জাপানের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সংস্থা ‘জটরো’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবার কথা রয়েছে। এদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী জাপান প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের হেনাডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে বিমানের একটি ফ্লাইটে টোকিও ত্যাগ করবেন। রাত ১১টা ৪৫ (ঢাকার স্থানীয় সময়) মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটির ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
জানা গেছে, এবারে জি-৭ শীর্ষ সম্মলনে উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ ম্যাগাজিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্বের অন্বেষণে’ শীর্ষক বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে । বিশ্বের সব শীর্ষ নেতার পাশাপাশি শেখ হাসিনার নিবন্ধ স্থান পেয়েছে এই প্রকাশনায়।
বিশ্বনেতারা ভবিষ্যৎ বিশ্বকে কেমন দেখতে চান, তাদের উন্নয়ন ভাবনা ও দর্শন কী সবই রয়েছে এসব নিবন্ধে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে লিখেছেন তার উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে।
‘জাপান, দ্য ইসেসিমা সামিট’ শীর্ষক এই ১২২ পৃষ্ঠার বিশ্ব প্রকাশনায় জি-৭ নেতাদের নিজস্ব ভাবনার পরপরই শেখ হাসিনার নিবন্ধ স্থান পেয়েছে বিশ্ব ভাবনা ক্যাটেগরিতে। যার প্রচ্ছদেও স্থান পেয়েছে তার ছবি। এর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা কেবল নেতৃত্বেই বিশ্বনেতাদের কাতারে থাকলেন না, উন্নয়ন ভাবনা ও আদর্শেও তিনি উঠে এলেন একই উচ্চতায়।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনঝো আবের লেখায় গুরুত্ব পেয়েছে একটি ফলপ্রসূ জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য করণীয় দিকগুলো। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো লিখেছেন নাগরিকের সমতার কথা। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেল গুরুত্ব দিয়েছেন শরণার্থী সঙ্কট ইস্যুতে। তিনি বলেছেন, একমাত্র সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই আমরা এমন বাস্তুচ্যুতির ঘটনা প্রতিরোধ করতে পারব। ইতালির প্রেসিডেন্ট মাত্তিও রেনজি ইউরোপের জন্য সুযোগ ও প্রত্যাশার দিকগুলো তুলে ধরেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ টেকসই উন্নত বিশ্নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোতে আলোকপাত করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, বন্ধু ও মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে সামনে এগিয়ে চলার কথা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও গুরুত্ব দিয়েছেন সাম্যের বিশ্বের প্রতি। আর শেখ হাসিনা লিখেছেন- আমাদের এমনই একটি বিশ্ব নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোনো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যপীড়িত মানুষ থাকবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।