Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফুটপাতের সেফটিমানি

রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে তৎপর লাইনম্যান ও চাঁদাবাজচক্র

প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নূরুল ইসলাম : রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার রাস্তা ও ফুটপাত দখলদারমুক্ত করার জন্য ডিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেন জয়নাল আবেদীন। এলিফ্যান্ট রোডের এই বাসিন্দা ফুটপাতের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে নিউমার্কেট এলাকার লাইনম্যান নামধারী চিহ্নিত চাঁদাবাজদের একটি তালিকাও দিয়েছেন।
চলতি মাসের ৯ তারিখে করা এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিএমপি কমিশনার ১১ মে রমনা বিভাগের ডিসিকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেন। ১৫ মে রমনা বিভাগের ডিসি এসি রমনাকে একইভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ১৬ মে রমনা জোনের এসি নিউমার্কেট থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পুলিশের চেইন অব কমান্ড এই ওসি পর্যন্ত এসে থমকে যায়। গতকাল ২৫ মে বুধবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং আবেদনে যেসব চাঁদাবাজদের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল তারা রমযান ও ঈদকে সামনে রেখে চাঁদার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে হকারদের কাছে থেকে জোর করে এককালীন মোটা অংকের ‘সেফটিমানি’ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন হকার। ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক হারুন অর রশীদ এ প্রসঙ্গে বলেন, রাজধানীর ফুটপাতকে হকারমুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে ঢাকার দুই মেয়র জনগণের কাছে থেকে অগ্রীম ‘বাহাবা’ নিয়ে রেখেছেন। ফুটপাততো দূরের কথা, রাস্তা দখল ঠেকানো যায়নি। ওই শিক্ষক মনে করেন, ঢাকার ফুটপাত কোনোদিনও হকারমুক্ত হবে না। তিনি বলেন, যা কিছু বলা হোক না কেনো- রাজনীতিকরা কোনোদিনও এই বলয় থেকে বেরুতে পারবেন বলে মনে হয় না। তবে উত্তর সিটি কর্পোরেশন এক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যতিক্রম। উত্তরের কিছু কিছু এলাকার ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ করার পর আর বসতে দেয়া হয় নি। গাবতলী বাস টার্মিনালের বাইরের রাস্তাটি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। গাবতলীতে এখন আর আগের মতো যানজট নেই। রাজধানীর গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টন, ফার্মগেইট, যাত্রাবাড়ী, জুরাইনসহ ঢাকার ব্যস্ত এলাকাগুলোতে ফুটপাত দখলের প্রতিযোগিতা সেই আগের মতোই আছে। ঈদ ও রমযানকে সামনে রেখে বাড়ানো হয়েছে চাঁদার পরিমাণও। কোনো কোনো এলাকার লাইনম্যানরা এককালীন টাকা আদায় করছে রমযানে বা ঈদের আগে যাতে কোনো অভিযান বা ঝামেলা না হয় এই বলে। দালালরা এর নাম দিয়েছে ‘সেফটিমানি’। ঈদে বেচাবিক্রির কথা মনে করে হকাররা তাদের হাতে সেফটিমানির বাড়তি অংক তুলে দিচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদনে জয়নাল আবেদীন নিউ মার্কেট এলাকার ফুটপাত দখল করে রেখে যারা চাঁদাবাজি করছেন তাদের একটি তালিকা দিয়েছেন। ওই তালিকা অনুযায়ী নিউ মার্কেটের সামনে ফুটপাত দখল করে রাখা হকারদের কাছে থেকে চাঁদা তোলে সাত্তার মোল্লা, মিজান ও শাহাদত। নীলক্ষেত মার্কেটের ফুটপাত থেকে চাঁদা তোলে শহীদ ও শাহীন, গাউছিয়া মার্কেটের সামনের ফুটপাত থেকে চাঁদা তোলে তাহের, ইপু ও মোরশেদ। আর্ট কলেজের ফুটপাত থেকে চাঁদা তোলে দুদু, নিউ সুপার মার্কেটের সামনের ফুটপাত থেকে চাঁদা তোলে জলিল ও সিদ্দিক। ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরী পর্যন্ত ফুটপাত থেকে চাঁদা তোলে মজনু, রফিক, ইসমাইল ও আলম। নিউ মার্কেট ওভারব্রীজের দোকন থেকে চাঁদা তোলে কালাম ও খোকন। আবেদন বলা হয়, উল্লেখিত চাঁদাবাজরা প্রতিটি দোকান থেকে ৭০ থেকে ৮০ টাকা হারে চাঁদা তোলে। কোনো হকার চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে মারধর করে।
এদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ফুটপাতকে দখলদারমুক্ত করার জন্য দিনক্ষণ বেঁধে দিয়েছিলেন। তবে একজন হকারকেও উচ্ছেদ করা যায় নি। ফুটপাতকে হকারমুক্ত ঘোষণার পর থেকে মেয়রের ঘোষণা যাতে বাস্তবায়িত না হয়, সেজন্য চলছিল জোর তদবির। সেই তদবির প্রাণ পেয়েছে হকারদের তালিকা তৈরীর প্রক্রিয়ায়। যে প্রক্রিয়া এখনও চলমান। এর মধ্যে লাইনম্যান নামধারী চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম থেমে নেই। ঈদ ও রমযানকে সামনে রেখে তারা চাঁদার অঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় রমযানে উচ্ছেদ ঠেকাতে বা কোনো ঝুট ঝামেলা হবে না এই নিশ্চয়তার দিয়ে অগ্রীম এককালীন টাকা নেয়া হচ্ছে হকারদের কাছে থেকে। লাইনম্যান নামধারী চাঁদাবাজদের দাপটের কাছে সাধারণ হকাররা অসহায়। কয়েকজন হকার জানান, এরা পুলিশকে টাকা দেয় বলে এতো ক্ষমতাধর। এদের কথা না শুনলে পুলিশ নানাভাবে হয়রানি করে। ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গুলিস্তান এলাকায় টাকার বিনিময়ে পুলিশ রাস্তা বন্ধ করে হকারদের বসার জায়গা করে দেয়। গুলিস্তান সিনেমা হলের উত্তর দিকের রাস্তা এবং ফ্লাইওভারের সামনে সুন্দরবন স্কোয়ারের সামনের রাস্তাই তার প্রমাণ। ভুক্তভোগিদের মতে, এখানকার যানজট, বিশৃঙ্খলা, প্রতারকচক্র, অজ্ঞান ও মলমপার্টির দৌরাত্ম, ভিক্ষুকদের উৎপাত, যাত্রীদের ভোগান্তি কর্তব্যরত পুলিশের বিবেককে নাড়া দেয় না। কারণ গুলিস্তানের রাস্তা ও ফুটপাতকে কেন্দ্র করে মাসে কোটি টাকার চাঁদাবাজি চলে। এই টাকার বড় অংশ যায় প্রভাবশালী নেতা ও পুলিশের পকেটে। বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশনের হিসাব মতে, শুধুমাত্র গুলিস্তান থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদ হয়ে ফুলবাড়ীয়া পর্যন্ত রাস্তা ও ফুটপাতে কমপক্ষে সাড়ে চার হাজার দোকান বসে। এসব দোকান থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা চাঁদা তোলে লাইনম্যানরা। মাস শেষে এই টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় দেড় কোটি টাকা।
গুলিস্তান এলাকা ঘুরে হকারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় ফুটপাত দখল করে হকাররা ব্যবসা করলেও গুলিস্তান একমাত্র ব্যতিক্রম। এখানে শুধু ফুটপাত নয়, রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছে হকাররা। গুলিস্তান স্কয়ার থেকে সিনেমা হলের (সাবেক) সামনে দিয়ে ফুলবাড়ীয়ার দিকে যাওয়ার রাস্তা দখল করে বসানো হয়েছে দোকান। দু’চারটি গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে চলতে গেলেই সৃষ্টি হয় যানজট। যাত্রাবাড়ী থেকে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার পার হয়ে গুলিস্তানে নামলে ডানে বা বামে কোনো দিকে যাওয়ার কোনো রাস্তাই খোলা নেই। সব রাস্তাই হকারদের দখলে। ট্রাফিক পুলিশের সামনেই শত শত যানবাহন আটকা থাকলেও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে থাকেন মাত্র। ফুলবাড়ীয়া বাস টার্মিনাল থেকে সুন্দরবন স্কোয়ারের দিকে আসা বা যাওয়ার দুটো রাস্তাই বন্ধ করে দোকান বসানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তাটিও হকারদের দখলে। অন্যদিকে জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাটের দিকে যেতে মূল রাস্তার অর্ধেক অংশই হকারদের দখলে। যে কারনে সদরঘাটের বাসগুলো গুলিস্তান এলাকাতেই যানজটে আটকা পড়ে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাস্তা দখল করে হকারদের এই উন্মুক্ত ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে পুলিশ। এজন্য পুলিশের তদারকিতে নিয়োগ করা আছে ‘লাইনম্যান’ নামধারী এক শ্রেণীর দালাল। এরা আবার প্রভাবশালী নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট। এই দালালরাই সরকারী রাস্তা ‘ভাড়া’ দিয়ে মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে দেড় কোটি টাকা। জানা গেছে, প্রতিদিন প্রতিটি দোকান থেকে নির্দিষ্ট হারে চাঁদা তোলা হয়। এই চাঁদার বড় অংশ যায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, মতিঝিল থানা ও সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের কর্মকর্তাদের পকেটে। যারা সরাসরি এই চাঁদার টাকা তোলে তারা সব সময় থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। জানা গেছে, গুলিস্তান সুন্দরবন স্কোয়ারের উত্তর পাশের ফুটপাত থেকে চাঁদা তোলে মোটা জজ, বাবুল, আমীর হোসেন, ভোলা ও কানা সিরাজ। গুলিস্তানের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা বলে এখানকার চাঁদার পরিমাণ দু’শ টাকা। রাস্তার উপরের দোকানের জন্য দিতে হয় ৮০ টাকা। বঙ্গভবনের পার্কের সামনে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সাথের ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলে লম্বা হারুন ও তার শ্যালক দেলোয়ার। গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারের (গুলিস্তান সিনেমা হল) পূর্ব পাশের ফুটপাত ও রাস্তার দোকান থেকে চাঁদা তোলে সরদার বাবুল। কোন রাস্তায় বা ফুটপাতে দোকান বসবে তা বাবুলই পুলিশের সাথে সমঝোতা করে নির্ধারণ করে দেয় বলে বাবুলের নামের সাথে সরদার বিশেষণ যুক্ত হয়েছে। গুলিস্তান হলের (এখন নেই) উত্তর পাশের ফুটপাত থেকে চাঁদা তোলে খোরশেদ ও হাসান। রাজধানী হোটেলের সামনের ফুটপাত ও রাস্তার দোকান থেকে চাঁদা তোলে হিন্দু বাবুল ও রব। জাতীয় গ্রন্থভবনের সামনের রাস্তা ও ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলে সুলতান ও লিপু। রমনা ভবনের পশ্চিম পার্শ্বের রাস্তা ও ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলে মনির ও তরিক আলী। পূর্ণিমা ¯œাকসের সামনের রাস্তা ও ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলে আখতার ও জাহাঙ্গীর। বেলতলা বেল্টের গলির রাস্তা ও ফুটপাত থেকে চাঁদা তোলে কালা নবী, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সোনালী ব্যাংকের সামনের রাস্তা ও ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলে সাবেক সর্দার ছালাম। জিপিও’র দক্ষিণের রাস্তার দোকান থেকে চাঁদা তোলে শহীদ ও দাড়িওয়ালা সালাম। মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের সামনের ফুটপাত থেকে চাঁদা তোলে আলী মিয়া। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলে কাদের ও খলিল। বায়তুল মোকাররম মসজিদের পশ্চিম দিকের মিনারের কাছের ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলে কোটন, জাহাঙ্গীর ও নসু। বায়তুল মোকাররম মসজিদের স্বর্ণের মার্কেটের সামনের রাস্তা ও ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলে ছিন্নমূল হকার্স লীগের নেতারা। সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দোকানপ্রতি দুশ টাকা করে তোলা হয় বলে হকাররা জানায়। জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটের ফুটপাত থেকে চাঁদা তোলে সাজু। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সামনের ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলে আবুল হাশেম ও কবির হোসেন, ফুলবাড়ীয়া টিএন্ডটির সামনের ফুটপাত থেকে চাঁদা তোলে ঘাউরা বাবুল, গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারের পশ্চিমের রাস্তা ও ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলে বিমল। গুলিস্তান বেল্টের গলি থেকে রমনা ভবনের পূর্ব পাশ পর্যন্ত ফুটপাত থেকে চাঁদা তোলে আখতার ও জাহাঙ্গীর। সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে উদয়ন মার্কেট পর্যন্ত দোকানগুলো থেকে চাঁদা তোলে সর্দার সালাম ও তার সহযোগী।
অন্যদিকে, রাজধানীর জুরাইনে সড়ক ও জনপদের জমিতে গড়ে ওঠা হকার্স মার্কেট নিয়ে উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা বন্ধ হয়েছে স্থানীয় সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি এ্যাড. সানজিদা খানমের হস্তক্ষেপে। কিন্তু এর ফায়দা হিসাবে স্থানীয় এমপি বাবলার লোকজন মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে হকারদের অভিযোগ। কয়েকজন হকার জানান, এমপি বাবলার হয়ে খায়রুল ও মোশারফ হকারদের কাছে থেকে চাঁদা তুলছে। এর মধ্যে কেউ কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় খায়রুল হকারদেরকে মারধরও করেছে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, এই মার্কেট উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে খায়রুল ও মোশারফদের দৌরাত্ম এতাটাই বেড়েছে যে এখানে সাধারণ হকাররা কেউই এখন নিরাপদ নয়।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হকার্স লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম এ কাশেম বলেন, গুলিস্তানসহ রাজধানীর ফুটপাতে লাইনম্যান নামধারী চাঁদাবাজদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে হকাররা বহুদিন ধরেই একতাবদ্ধ। আগামীতে লাইনম্যানদের গ্রেফতারের দাবিতে আমরা স্থানীয়ভাবে কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটপাতের সেফটিমানি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ