পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ডাক্তারদের সঙ্গে মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের মানসিক যোগাযোগ বা বোঝাপড়া রোগীদের সুস্থ থাকার জন্য বেশি জরুরি। এই যোগাযোগ বৃদ্ধি করারও প্রয়োজন রয়েছে। এটাকেও এক ধরনের ওষুধ বলা যায়। ওষুধের সাহায্যে চিকিৎসা এক ধরনের জোড়াতালি চিকিৎসা যা অল্প পয়সায় করা যায় কিন্তু তাতে রোগের সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ হয় না। শতকরা ৯০ শতাংশ চিকিৎসক তাই বিশ্বাস করেন। চিকিৎসা বিষয়ক চিন্তা ও ধারণার নানামাত্রিক উৎকর্ষ ঘটে চলেছে।
এই বিষয়টিকে আরো উজ্জ্বল ও বিশেষ খাতে দেখতে শুরু করেছে এক জরিপের মাধ্যমে রয়েল অস্টেলেশিয়ান কলেজ অব ফিজিশিয়ান (আরএসিপি)। এই সংস্থা ১ হাজার ৫শ’ ডাক্তারের সমন্বয়ে জীবন সায়াহ্নের রোগীদের বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। এখানে মুমূর্যু রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসকদের দীর্ঘ সময়ের যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতার মাধ্যমে চিকিৎসকেরা তাদের জ্ঞান ও ধারণাকে পোক্ত করার চেষ্টা করেছেন।
চিকিৎসকেরা একজন রোগীর শেষ আচরণ, দুঃখ-কষ্ট ও দুর্দশাকে খুব কাছে থেকে দেখার চেষ্টা করেছেন। আর সেই হিসেবে রোগীর জন্য জরুরী ব্যবস্থা দিয়েছেন। চিকিৎসকরা আরএসিপিতে কাজ করেছেন সেই সব রোগীদের নিয়ে যারা মাত্র ১২ মাসের মধ্যে মৃত্যুবরণ করবেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত ও আরো ফলপ্রসূ করার জন্য সেখানে চিকিৎসকেরা পালাক্রমে এক সপ্তাহের জন্য রোগীদের দেখেছেন। আরএসিপিতে গবেষণা ও চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের এক-তৃতীয়াংশ দেখেছেন রোগীদের চিকিৎসা প্রণালী তাদের অন্তিম অসুবিধা কিংবা সমস্যাগুলো। তারা দেখতে চেয়েছেন, রোগীদের ইচ্ছা তাদের ভালো লাগা, মন্দ লাগার বিষয়টিকে। অন্য তৃতীয়াংশ চিকিৎসক নিবিষ্টভাবে দেখেছেন চিকিৎসার ধরন আর রোগীদের শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন, তাতে তাদের শারীরিক উন্নতি কতটা হয়েছে। বাকি চিকিৎসক এই সমীক্ষাধর্মী কাজে বুঝতে চেয়েছেন মুমূর্ষু রোগীদের জন্য চিকিৎসক ও রোগীর সঙ্গে কী পরিমাণ যোগাযোগ সম্পর্ক থাকা দরকার। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আরএসিপিতে যোগ দেয়া চিকিৎসকদের শতকরা ১৭ জন বুঝতে পেরেছেন রোগীদের অন্তিম ক্লেস ও তাদের অনুরাগ-অনুভূতি। সবশেষে এটাই বলা যায়, নিবিড় পরিচর্যা একজন রোগীর জন্য কতোখানি প্রয়োজন, তার মৃত্যুর সময়ে তা সহজেই বোঝা যায়। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।