পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের ৯ পৌরসভার ভোটগ্রহণে কেন্দ্র দখল, জালভোট ও সহিংসতার দায় নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাতে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল এই এ আহ্বান জানায়। চার সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বিদায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে নোমান সাংবাদিকদের জানান, সকাল থেকে শুরু হওয়া দেশের নয়টি পৌরসভার নির্বাচনে সরকার দলের ক্যাডাররা প্রশাসনের সহায়তায় জালভোট দেওয়াসহ বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। আমরা এই বিষয়টি সিইসিকে জানিয়েছি। তিনি তার স্বভাবজাতভাবে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের বলেছেন।
নোমান বলেন, জাল ভোটই শুধু নয়, যেভাবে ভোট ডাকাতি হচ্ছে তাতে আর উন্নত নির্বাচন হবে বলে আশা করি না। বর্তমান সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না। আমরা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ঘৃণা করি। তাই সিইসিকে বলেছি, সরকারের আজ্ঞাবহ হলে কিছুই হবে না। একবার কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারলে জনগণ আপনাকে মনে রাখবে। তাই পদত্যাগ করে জনগণের কাতারে চলে আসেন। এটাই হবে বড় কাজ।
অনিয়ম হলে কেন্দ্র আগেও বন্ধ হয়েছে এবারও হবে, সিইসির এমন আশ্বাসের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সব কেন্দ্রে কারচুপি হলে দু-একটি কেন্দ্র বন্ধ করা হলে তাতে কিছু এসে যায় না। কারচুপি করেই একজন নির্বাচিত হয়ে যায়। তাই নয়টি পৌরসভার নির্বাচন বাতিল করে, নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। সিইসি দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
নোমান বলেন, শুধু পৌরসভা নির্বাচন নয়, সাম্প্রতিক সময়ে যতও নির্বাচন হয়েছে, তার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি সিইসিকে জানিয়েছি। যে কমিটি এই কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কারচুপিসহ সব প্রতিবেদন জনগণের কাছে প্রকাশ করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে কারচুপি করে তাদের প্রার্থীরা জয়ী হলেও প্রকৃত জয় হয়েছে বিএনপির। কেননা জনগণ দেখেছে বিএনপি নির্বাচন করতে আগ্রহী। কিন্তু এই সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এছাড়া যে কমিশন স্থানীয় নির্বাচনই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারছে না, সে কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
প্রতিনিধিদলে বিএনপি নেতা ক্যাম্পেন (অব.) সুজাউদ্দীন, ইমরান সালে প্রিন্স ও আব্দুল আউয়াল খান উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।