Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতমুখী ঘূর্ণিঝড় ফণির শক্তি বৃদ্ধি

সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সঙ্কেত

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৯, ৩:৫৮ পিএম

দক্ষিণ ভারতের উডিশা উপকূলের দিকে ধাবমান প্রবল শক্তিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় ফণির শক্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সমুদ্র খুবই উত্তাল ও বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে আগের দেয়া ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত নামিয়ে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ফণি বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসার সম্ভাবনা এখনও কম। তবে যদি গতিপথ বদল করে এগিয়ে আসে তখন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সঙ্কেত বৃদ্ধি করা হবে। ফণি তার বর্তমান স্বাভাবিক গতিপথ বজায় রাখলে আগামী শুক্রবার-শনিবারের মধ্যেই দক্ষিণ ভারতের উডিশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে ভারত ও বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ফণির কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশজুড়ে ভ্যাপসা গরম অব্যাহত রয়েছে। আজও তাপদাহ বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। খরতাপের তীব্রতায় জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। দেশের সমুদ্র উপকূল চর ও দ্বীপাঞ্চলে বিরাজ করছে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের আশঙ্কায় জনমনে ভয়-ভীতি। ফণি বাংলাদেশের উপকূলভাগ থেকে এখন প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
তবে দক্ষিণ ভারতের উপকূলের প্রায় সাড়ে ৫শ’ কিলোমিটার কাছে এসে গেছে। উডিশা-অন্ধ্র-তামিলনাডুসহ সমগ্র দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলে ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে সমুদ্র উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে নেভি ও কোস্ট গার্ড।
সর্বশেষ আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ আরও সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ বুধবার দুপুর ১২ টায় চগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৯০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১০০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ফণি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৬০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় ফণির
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ