পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গ্রামীণফোন যতই লাফালাফি করুক সরকারের পাওনা প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক। তিনি বলেন, গ্রামীণফোন নিরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাওনা আদায়ে সরকার আইন অনুযায়ী যা যা করা দরকার সবই করবে। কারণ টাকা মাফ করার কোন ক্ষমতা বিটিআরসির নেই। টাকা আদায়ে প্রয়োজনে এনওসি বন্ধ করা, কল ব্লক করা এমনকি তাদের লাইসেন্স শোকজ করার সিগন্যালও আমরা পেয়েছি। গতকাল (সোমবার) দুপুরে বিটিআরসির কার্যালয়ে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) এর নতুন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, গ্রামীণফোনের অডিট একযুগের সমস্যা, প্রথমে ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ছিল, আবার অডিট হল সেই অডিটে ১৩ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। দৈনিক এটা বাড়ছে। প্রতিনিয়তই সুদসহ এই টাকা বাড়ছে। এখন ১৩ হাজার কোটি টাকার উপর প্রতিদিন ১৫ শতাংশ হারে লেট ফি হিসাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অপর দিকে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে লাইসেন্স পাওয়া টাওয়ার কোম্পানির সৃষ্ট দ্ব›দ্ব নিরসনে একটি গাইডলাইন তৈরি করে দেয়া হবে জানিয়ে জহুরুল হক বলেন, গত বছর নভেম্বর মাসে চারটি কোম্পানিকে মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার অবকাঠামো ভাগাভাগি সংক্রান্ত টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স দিয়েছে সরকার। কিন্তু মোবাইল ফোন অপারেটরদের মধ্যে টাওয়ার কোম্পানিগুলোর নানা ক্ষেত্রে মতৈক্য না হওয়ায় এখনো তা ঝুলে আছে। একারণে গ্রাহকরা মোবাইল ফোনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই অবস্থা নিরসনে বিটিআরসিও দুই পক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। কিন্তু কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগে ২ সপ্তাহের সময় বেধে দিয়ে বিটিআরসির পক্ষ থেকে চিঠিও দেয়া হয়েছিল মোবাইল অপাটেরদের। সেই সময়ও পার হয়ে গেছে। এখন বিটিআসি এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি গাইড লাইন তৈরী করে দেবে।
টাওয়ার শেয়ারিং গাইডলাইন অনুযায়ী ৪টি কোম্পানিকে টাওয়ার লাইসেন্স দেয়া হলেও তারা ব্যবসা করতে পারছেন না জানতে চাইলে বিটিআরসির মহাপরিচালক (লিগ্যাল ও লাইসেন্সিং) শহীদুজ্জামান বলেন, মোবাইল ফোন অপারেটরের অসহযোগিতার কারণে এটা হচ্ছে না। আমার তাদের এক সপ্তাহের সময় দিয়েছিলাম দুই পক্ষের মধ্যে ঐক্যমতে পৌঁছতে। কিন্তু হয়নি। তাই বিটিআরসি আগামী ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত গাডলাইন তৈরী করে ৪ টি টাওয়ার ও মোবাইল অপারেটরদের চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে। তারা এটা মানতে বাধ্য হবেন।
অভিযোগ উঠেছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের অনিহার কারণে টাওয়ার শেয়ারিং কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এতে বন্ধ রয়েছে টাওয়ার সেবার সব ধরনের কার্যক্রম। এতে বিপাকে পড়েছেন মোবাইল ফোন গ্রাহকরা। টাওয়ার নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে কল ড্রপসহ নানা বিভ্রাট। দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের অবস্থা আরও করুন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।