পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হয়েছেন বরেণ্য সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ। গতকাল (রোববার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। দাফনের সময় মাহফুজ উল্লাহ বড় ভাই মাহবুব উল্লাহ, মাহফুজ উল্লাহর স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ আত্বীয় স্বজনরা এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ছিলেন। এর আগে বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে মরহুমের লাশ আনা হলে সাংবাদিকসহ রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতীয় প্রেসক্লাব, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, নোয়াখালী সাংবাদিক ফোরাম, জাতীয় প্রেসক্লাব কর্মচারি ইউনিয়ন, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বিএনপি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি, ন্যাপ ভাসানীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় নামাজে জানাজায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মোহাম্মদ শাহজাহান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজেডএম জাহিদ হোসেন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, নুর মোহাম্মদ খান, জহির উদ্দিন স্বপন, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জাফরুল্লাহ খান চৌধুরী লাহরী, আহসান হাবিব লিংকন, নওয়াজ আলী আব্বাস খান, এএসএম শামীম, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, বিকল্পধারার শমসের মবিন চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপ-ভাসানীর এড. মোঃ আজহারুল ইসলাম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, গণফোরামের রফিকুল ইসলাম পথিক, নঈম জাহাঙ্গীর, ফকির আলমগীর প্রমূখ অংশ নেন।
সাংবাদিকদের মধ্যে সৈয়দ কামাল উদ্দিন, রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, রুহুল আমিন গাজী, এম এ আজিজ, সাইফুল আলম, কামাল উদ্দিন সবুজ, আবদুল হাই শিকদার, আবদুস শহিদ, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, শাহেদ চৌধুরী, মাইনুল আলম, কাদের গনি চৌধুরীসহ শতাধিক সাংবাদিক নামাজে জানাজায় অংশ নেন।
জানাজার আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন, সিনিয়র সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মরহুম মাহফুজ উল্লাহর একমাত্র ছেলে মোস্তফা হাবিব অন্তু, মাহফুজ উল্লাহর বড় ভাই প্রফেসর মাহবুবউল্লাহ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
এর আগে দুপুরে গ্রীন রোডের মসজিদে মাহফুজ উল্লাহর প্রথম নামাজে জানাজায় বিএনপির আবদুল আউয়াল মিন্টু, আবদুল কাইয়ুম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শায়রুল কবির খানসহ শিক্ষক-সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ স্থানীয়রা অংশ নেন।
গত শনিবার বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ। গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরে ব্যাংককের এই হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ৬৯ বছর বয়সী মাহফুজ উল্লাহ গত ২ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। স্কয়ারে কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১১ এপ্রিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নিয়ে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
তিনি হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে ব্যাংককে একবার তার বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল।
১ মে মিলাদ মাহফিল: পরিবারের পক্ষ থেকে মাহফুজউল্লাহর স্মরণে আগামী ১ মে বাদ আসর জাতীয় প্রেসক্লাবে মিলাদ মাহফিল করবে। এতে সকলকে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।