পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভিসি অধ্যাপক খালেদা একরাম ইন্তেকাল করেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সোমবার থাইল্যান্ডের ব্যাংকক হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস: ত্যাগ করেন। বুয়েট ভিসি’র ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস) কামরুল হাসান গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অধ্যাপক খালেদা একরাম সোমবার রাত ২টা ৫ মিনিটে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। মরহুমার লাশ দেশে আনার ব্যাপারে তাঁর পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে গত ১৩ মে রাতে খালেদা একরামকে চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৭ মে থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
১৯৫০ সালে জন্ম নেওয়া খালেদা একরাম ১৯৭৪ সালে বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পরের বছরই প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।
১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই ইউনিভার্সিটি থেকে স্থাপত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নেন তিনি। ১৯৯৫ সালে পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান দুই মেয়ে ও এক ছেলের জননী খালেদা একরাম।
শিক্ষক হিসাবে খালেদা একরামের স্মৃতিচারণ করে ভারপ্রাপ্ত ভিসি জেবুন নাসরীন বলেন, খুবই সুন্দর পড়াতেন। উনি একজন সৎ মানুষ ছিলেন। তাই আমরা বুঝতাম, তিনি যা পড়াচ্ছেন, তা পড়ে এসে, নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াচ্ছেন।
২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বুয়েটের প্রথম নারী ভিসি হিসেবে চার বছরের জন্য দায়িত্ব পান খালেদা একরাম। তার ইন্তেকালে গতকাল মঙ্গলবার ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
খালেদা একরাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করেছেন তিনি।
জানা গেছে, খালেদা একরামের বাড়ি বগুড়ায়। তবে তাঁর জন্ম ঢাকায়। ঢাকাতেই বড় হয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।