পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ধর্ম নিয়ে আওয়ামী লীগের আচরণ সুবিধাবাদী দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এরা কখনো ইসলামিক হয়ে যাবেন, কখনো ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে যাবেন, কখনো নাস্তিক হয়ে যাবেন। নিজেদের সমর্থন আদায়ের জন্য যখন যেটা প্রয়োজন তা করবেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। ইসরাইলী লিকুদ পার্টির নেতার সঙ্গে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর যোগাযোগের অভিযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, আসলাম চৌধুরী নয়, মোসাদ ষড়যন্ত্রের মূল হোতা বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ইসলামী দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ইহুদি-নাসারারা ইসলামের শত্রু। তারা যখন ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ওপর আক্রমণ করেছিল, তখন এই বাংলাদেশে সমস্ত ধর্মভিত্তিক দলগুলো আন্দোলনে নেমেছিল। আজ আপনারা কোথায়? আপনারা আজ কেন চুপ করে আছেন? ধর্মভিত্তিক দলগুলো খালেদা জিয়ার বিএনপির ইহুদি ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় মাঠে নামবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন হানিফ।
এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থন আদায়ের জন্য কখনো ইসলামিক হয়ে যায়, আবার কখনো ধর্মনিরপেক্ষ, আবার কখনো নাস্তিক হয়ে যায়। সমর্থন আদায়ের জন্য যখন যেটা প্রয়োজন, তখন তারা সেটা করে। তিনি দাবি করেন, হানিফের বক্তব্যে মানুষ কৌতুক বোধ করছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম মুছে দিয়েছে। এখন বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে নিয়ে কল্পকাহিনী প্রচার করছে। তিনি এটিকে জনগণের সহানুভূতি আদায়ের জন্য আওয়ামী লীগের নাটক বলে আখ্যা দেন। ইসরাইলের সঙ্গে বিএনপির ‘ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে রিজভী বলেন, জনগণের ‘সহানুভূতি’ আদায়ের জন্য এই ‘কল্পকাহিনী’ সাজিয়েছে তারা।
ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ‘ধার্মিকদের জঙ্গি হিসেবে চিত্রিত’ করার অভিযোগ করে রিজভী বলেন, তারা যারা ধার্মিক মানুষ তাদেরকে বার বার চিত্রিত করেছেন জঙ্গি হিসেবে। ধর্মের ওপর তারা বার বার কটূক্তিও করেছেন। তাদের সমর্থিত বিভিন্ন মানুষ তথা বুদ্ধিজীবীরা এসব কথা বলেছেন। মূলত আওয়ামী লীগের কোনো আদর্শ ও নীতিবোধ নেই। এরা ক্ষমতায় থাকার জন্য যখন যাকে ইচ্ছা তাকে ব্যবহার করবে।
এনজিও’র ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিধান রেখে বৈদেশিক স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম রেগুলেশন বিল প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে দাবি করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের ‘দুঃশাসনের’ বিরুদ্ধে কেউ যেন নীচু গলায়ও কোনো আওয়াজ তুলতে না পারে সেজন্য এটা করা হচ্ছে। এই উদ্যোগকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকারের বেপরোয়া দুর্নীতি, অনাচার ও স্বেচ্ছাচারিতাকে নিরাপদ করা হবে, যাতে কোনো বেসরকারি সংগঠন, ওয়াচ ডগ, মানবাধিকার গ্রুপ সরকারের রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি লুটপাটের মাধ্যমে সীমাহীন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, বিরোধী দল দমনে নিষ্ঠুর পদ্ধতির প্রয়োগ ইত্যাদির বিরুদ্ধে তাদের সমালোচনাকে বন্ধ করে দেওয়া যায়।
চলমান ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা নিয়মিত সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার এই কমিশনকে ‘রাষ্ট্রীয় পদক’-এ ভূষিত করতে পারে।
এ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হারুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু, আব্দুুল আউয়াল খান, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।