পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : একটি বিশেষ গোষ্ঠী যখন ইহুদিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তখনো ভারত এবং সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি বাংলাদেশের পাশে আছেন বলে দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
গতকাল (মঙ্গলবার) মন্ত্রণালয়ের সামনে ভারতের দেয়া দু’টি অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রীংলাসহ ভারতের কূটনীতিক, ন্যাশনাল ফ্রিডম ফাইটার্স ফাউন্ডেশনের (এনএফএফএফ) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন ঘোষাল, চট্টগ্রামের মেয়র নাছির উদ্দিন।
বাংলাদেশ সফরে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় দু’টি অ্যাম্বুলেন্স দেয়ার ঘোষণা দেন। সেই অ্যাম্বুলেন্স দু’টির মধ্যে একটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের হাতে তুলে দেয়া হয়। আরেকটি দেয়া হয় ন্যাশনাল ফ্রিডম ফাইটার্স ফাউন্ডেশনকে। অ্যাম্বুলেন্স দু’টির চাবি বাংলাদেশের পক্ষে হস্তান্তর করেন মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং ভারতের পক্ষে রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রীংলা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা কৃতজ্ঞ ভারতের কাছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর কাছে, ভারতের জনগণের কাছে। যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দুই কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। আমরা কৃতজ্ঞ ভারতের পার্লামেন্টে বারবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য কথা বলায়। তাদের জনগণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করেছিলেন।
তিনি বলেন, আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। যিনি গত বছর আমাদের দেশে এসেছিলেন, তিনি বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে তিনি কাজ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল বলেন, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের অবদান কী তা আমরা সবাই জানি। ভারত আমাদের দুর্দিনের বন্ধু। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সরকারকে পতনের জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ইহুদিরা যখন ষড়যন্ত্র করছে তখন আমাদের দেশীয়রা সেখানে হাত মেলাচ্ছে। সেই সময়ও ভারত পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে আমাদের পাশে আছে। আমি এ কারণে ভারতবাসী এবং ভারত সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
মোজাম্মেল জানান, ভারতের সঙ্গে যে অভ্যন্তরীণ সমস্যা আছে তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শেষ হবে।
এ সময় ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সাহসী সংগ্রাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে গর্বিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।