পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : ভাগ্যের বিড়ম্বনায় পশ্চিমবঙ্গের ‘কুচবিহার শহীদ বন্দনা সেফহোমে’ রিংকী, টুসু ও পিংকী নামের এই শিশুরা জানে না কী তাদের অপরাধ? তাদের মা’রই বা কী দোষ? নিজ সন্তানকে পাচার করতে তাদের বাবাদের বুক কাঁপেনি তারা কোন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে পড়ে? সেই প্রশ্নের ব্যাপারে বগুড়া সদরের ধাওয়াকোলা গ্রামের কর্মকারপাড়া ও দাসপাড়ার বাসিন্দাদের পরিষ্কার জবাবÑ ‘ওরা অমানুষ’! আর তাই ঐ গ্রামের চারজন অমানুষের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হচ্ছে রিংকী, টুসু ও পিংকীকে। ভাগ্যের বিড়ম্বনায় পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার ‘ফাঁসিদেয়া’ থানা পুলিশ ও আদালত হয়ে তাদের ঠাঁই হয়েছে ‘কুচবিহার শহীদ বন্দনা হোমে’। ওদের তিনজনের মধ্যে রিংকী ও টুসুর বাবা রাজ্যচন্দ্র কর্মকার ও মা দিপালী রানী কর্মকার। পিংকীর বাবা-মা বাবলু কর্মকার ও তপতি রানী কর্মকার। তারা বগুড়া সদরের ধাওয়াকোলা গ্রামের বাড়িঘর বিক্রি করে ঐ দুই জা’কে অসহায় অবস্থায় ফেলে দুই ভাই রাজ্যচন্দ্র কর্মকার ও বাবলু কর্মকার তাদের বাবা-মাসহ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে তিন শিশু কন্যাকে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই হিলি সীমান্ত পথে ভারতে পালিয়ে যায়। ফলে শিশু পাচারের অভিযোগে তারা দার্জিলিং জেলার ‘ফাঁসিদেওয়া’ থানা পুলিশের হাতে আটক হয়। সেখানকার আদালতের আদেশে ওই ৩ শিশুকে নিরাপত্তা হেফাজতে দেয়া হয়। রাজ্যচন্দ্র কর্মকার ও বাবলু কর্মকারসহ তাদের বাবা-মাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। জানা গেছে, গত ১৯ মার্চ শিলিগুড়ি আদালতে শর্তসাপেক্ষে তারা জামিন পায়। এদিকে জামিন পাবার পর ঐ তিন শিশুকে ফেলেই তারা ফের বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। গতকাল (মঙ্গলবার) রাজ্যচন্দ্র কর্মকার ও বাবলু কর্মকারের আরেক ভাই রতন কর্মকারকে সাথে নিয়ে তাদের মা কাঞ্চি রানী বগুড়া সদরের শেখেরকোলা গ্রামে তাদের এক পরিচিতজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, কাঞ্চি রানী ও রতন কর্মকারের সাথে ভারত থেকে অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তির আগমন ঘটেছে বগুড়ায়। তাদের পাসপোর্ট আদালতে জব্দ থাকার পরও বেআইনিভাবে বগুড়ায় ফেরার চাঞ্চল্যকর সুনির্দিষ্ট খবর সদর থানা পুলিশকে জানানো হলেও তাদের আটকের ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা হতাশাজনক বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। ফলে শিশুদের হতভাগী মা দিপালী রানী কর্মকার ও তপতি রানী কর্মকার বুঝতে পারছেন না কবে কিভাবে তাদের মেয়েরা ফিরে আসবে তাদের শূন্য বুকে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।