পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে মোসাদ ও বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়েছেন মাহবুব আলম হানিফ। এর মাধ্যমে অবশেষে তিনি ধর্মভিত্তিক দলের গুরুত্বও বুঝতে পেরেছেন। একইভাবে ওলামা লীগের গুরুত্বও বোঝা সময়ের দাবি। গতকাল বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যনির্বাহী সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার ও সেক্রেটারি মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘যে দেশের লোক জমি বিক্রি করে হজে যায়, সেদেশে ইসলাম ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অবজ্ঞা করে কোনো রাজনীতি করা যাবে না।’ সুতরাং দেশের ধর্মপ্রাণদের অনুভূতিকে উপেক্ষা করে এদেশে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। সেই কাজটিই করে আসছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ।
তারা বলেন, ওলামা লীগ সব ধর্মপ্রাণদের কথাগুলো তুলে ধরছে। এর মাধ্যমে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে ওলামা লীগ। এতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ইসলামবৈরিতার মিথ্যা অপপ্রচার নিরসন হচ্ছে। ধর্মপ্রাণরা আওয়ামী লীগের প্রতি নমনীয় হচ্ছে। যেমন ওলামা লীগ যখন বর্তমান শিক্ষানীতির কুফরি বিষয়গুলো তুলে ধরেছে, তখন সেটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। যদি ওলামা লীগের দাবি মানা হতো তাহলে আজ হেফাজত আন্দোলনের সুযোগ পেত না। তারা বলেন, বিএনপি-মোসাদের ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহবিরোধী চক্রান্ত প্রতিহত করতে একা আওয়ামী লীগই যথেষ্ট নয়, বরং এক্ষেত্রে ওলামা লীগের পক্ষে সম্ভব মোসাদ-বিএনপি’র বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ধর্মপ্রাণদের মধ্যে জনমত গড়ে তোলা। ধর্মপ্রাণদের আন্দোলিত করা। তারা বলেন, হানিফ সাহেব নিশ্চয় চাইবেন না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত নয় এমন কোনো দল সে সুযোগ নিক। বরং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত সংগঠনই ধর্মপ্রাণদের আন্দোলিত করুক তাই চাওয়ার কথা। কিন্তু তার বক্তব্যে একটি নেতিবাচক দিক ফুটে উঠেছে। তার বক্তব্যের মাধ্যমে জামায়াত-হেফাজত এবং অন্যান্য ধর্মভিত্তিক দলকে স্বীকার করছেন, যা আওয়ামী লীগের আদর্শের বিরোধী। তাই হানিফ সাহেবের উচিত আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করা।
নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন
ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন, পরবর্তী শুনানি ৩ মে
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার ঃ নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের ঘটনায় দায়ের করা দু’টি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণকালে মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন কাঠগড়ায় মাথা ঘুরে পড়ে যান। পরে আইনজীবী ও অন্যরা তার মাথায় পানি ঢেলে কাঠগড়ার বাইরে এনে ফ্যানের নিচে বসান।
এদিকে, ৭ খুন মামলায় একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ৩০ মে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। এ নিয়ে ৫৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সকাল সাড়ে ৯টা হতে বেলা দেড়টা পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া নূর হোসেনসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে ৫ জনের সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, মঙ্গলবার আদালতে ৭ খুনের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম শফিকুল ইসলাম, হত্যাকা-ের পর আলামত জব্দের সময়ে সাক্ষী করা আবদুল আউয়াল, আজাদ শেখ, মো: রহিম ও হাসানের। নূর হোসেনের পক্ষে আইনজীবী মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি খোকন সাহা সাংবাদিকদের জানান, নূর হোসেনের উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আদালত বিধিমোতাবেক কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
৭ খুনের ঘটনায় দু’টি মামলা হয়। একটি মামলার বাদি বিজয় কুমার পাল নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা ও অপর বাদি সেলিনা ইসলাম বিউটি (নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী)। দু’টি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭ জন করে। এ কারণে উভয় মামলার সাক্ষীদের একই সঙ্গে দুই মামলায় জেরা করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।