পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, নুসরাত হত্যায় হত্যাকারীদের সাথে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাংশ জড়িত। এ ছাড়া রাজনৈতিক ও অন্যান্য স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গসহ আরো অনেকেই জড়িত। যা এক ধরণের সিন্ডিকেট। আর সেই সিন্ডিকেটের হাত ধরেই এ ধরণের অপরাধের ন্যায় বিচার প্রতিহত হয়। এ জন্য বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ঘটছে। গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
নুসরাত হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িতদের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ভয়-ভীতির উর্দ্ধে উঠে সুষ্ঠু বিচারিক প্রক্রিয়ায় তাদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান তিনি। একই সাথে বাংলাদেশে নারী ও শিশুর প্রতি সব ধরণের সহিংসতা প্রতিহত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এসব অপরাধের সাথে জড়িতদের ন্যয়বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাংশ মানসিক বৈকল্যে ভুগছে। তাদের অনেকেই দুর্নীতিগ্রস্থ, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবান্বিত এবং ব্যাপকভাবে অনিয়মের সাথে জড়িত। তারা অপরাধীর পাশে দাঁড়ায়, অপরাধীকে সুরক্ষা দেয় আর যারা অপরাধের শিকার তাদের শুধু অধিকারই হরণ হয় না, নিরাপত্তাহীনতার শিকার হতে হয়। এভাবে একটা স্বাধীন দেশ চলতে পারে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই, প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, যখন অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে- যখন মানুষ জানবে, অপরাধী জানবে, যে অপরাধ করলে, অপরাধীর সাথে যোগসাজশ থাকলে, অপরাধের সুরক্ষা দিলে শাস্তি পেতে হয়, তখনই কিন্তু আমাদের আর পথে নামতে হবে না। বাস্তবে আইনের শাসন আছে এমন একটা দেশই ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বপ্ন।
নুসরাতের হত্যাকান্ড সরকারের জন্য অগ্নিপরীক্ষা মন্তব্য করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দ্রুত বিচার আদালতে নুসরাত হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে সরকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে যে তারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। তারা বিচারহীনতাকে প্রশ্রয় দেয় না। নুসরাত হত্যার ন্যায়বিচার না হলে আইনের শাসনের প্রতি উপর দেশবাসীর কোন আস্থা থাকবে না।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন টিআইবি’র উপদেষ্টা- নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহামম্মদ রফিকুল হাসান, সিভিক এনগেইজমেন্ট বিভাগের পরিচালক ফারহানা ফেরদৌস, অর্থ ও প্রশাসন বিভাগের পরিচালক আব্দুল আহাদ, এফসিএমএ এবং আউটরিচ ও কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মন্জুর-ই-আলম। এছাড়াও টিআইবি’র সদস্য, টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ইয়ুথ এনগেজমেন্ট এন্ড সাপোর্ট (ইয়েস) গ্রুপের সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ, টিআইবি কর্মী ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।