Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশ্ন : গর্ভপাত পাপ কি না? পাপ হলে কী ধরনের পাপ? কোরআন ও হাদিসের দলিলসহ জানতে চাই?

আফসানা লিপি
বংশাল, ঢাকা।

প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:১০ এএম

উত্তর : কোনো মহিলার গর্ভসঞ্চারের পর গর্ভপাত ঘটানো নিষিদ্ধ ও হারাম। গর্ভপাত ঘটানো কবিরা গোনাহ। এ সম্পর্কে আল কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বল, এসো! তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য যা নিষিদ্ধ করেছেন, তা তোমাদের পড়ে শুনাই; তা এই- ক. তোমরা তার কোনো শরিক করবে না। খ. পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। গ. দারিদ্র্যের জন্য তোমরা তোমাদের সন্তানদের হত্যা করবে না, আমিই তোমাদের ও তাদের রিজিক দিয়ে থাকি। প্রকাশ্য হোক বা গোপন হোক, অশ্লীল আচরণের নিকটও যাবে না। ঙ. আল্লাহ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন, যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করবে না। তোমাদেরকে তিনি এ নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা অনুধাবন কর। (সূরা আনয়াম : আয়াত ১৫১, পারা ৮, রুকু ১৯। এই আয়াতে কারিমার (গ) অংশে গর্ভপাত না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

মূলত গর্ভপাত ঘটানো হত্যাতুল্য অপরাধ। আল কোরআনে আরো ঘোষণা করা হয়েছে : ‘তোমাদের সন্তানদেরকে দারিদ্র্যের ভয়ে হত্যা করো না, তাদের ও তোমাদের আমিই রিযিক দিয়ে থাকি। তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ। (সূরা বনী ইসরাঈল : আয়াত ৩১, পারা ১৫, রুকু ৪)। এই আয়াতে গর্ভপাতকে মহাপাপ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
মহান রাব্বুল আলামিন কোরআনে সবিস্তারে মহিলাদের গর্ভসঞ্চারের পর গর্ভপাত না ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে নবী, মুমিন নারীগণ যখন তোমার নিকট এসে বায়আত করে এই মর্মে যে, ক. তারা আল্লাহর সাথে কোনো শরীক স্থির করবে না। খ. চুরি করবে না। গ. ব্যভিচার করবে না। ঘ. নিজেদের সন্তানকে হত্যা করবে না। ঙ. তারা সজ্ঞানে কোনো অপবাদ রচনা করে রটাবে না। চ. সৎকর্মে তোমাকে অমান্য করবে না। তখন তাদের বায়আত গ্রহণ করবে। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সূরা মুমহানা : আয়াত ১২, পারা ২৮, রুকু ২)। এই আয়াতে (ঙ) অংশে রমণীদের গর্ভপাত ঘটানোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতদসংক্রান্ত হাদিস অনেক, যা এই ক্ষুদ্র পরিসরে উপস্থাপন সম্ভব নয়।
উত্তর দিয়েছেন : মুমতাজুল ফুকাহা এ কে এম ফজলুর রহমান মুনশী

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

Show all comments
  • নাসির উদ্দিন ২১ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:২২ পিএম says : 0
    অসংখ্য ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • MD ASHIKUR RAHMAN ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:২৯ পিএম says : 0
    #ABCD আমাদের দেহ যখন সুষম হয, সক্ষম হয়, তখন আল্লাহ তাতে রুহ সঞ্চার করেন, আমরা প্রাণ পায়, একইভাবে যখন আমাদের দেহ/ শরীর সক্ষমতা হারায়, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় তখন দেহ থেকে আত্মা/ রুহ এর স্থায়ী বিচ্ছেদ ঘটে, হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গেলে দেহের সমস্ত অঙ্গের কার্যক্রম ব্যহত হয়, সুতরাং দেহ তার সুষম ক্ষমতা/ সক্ষমতা হারায়। এজন্য সৃষ্টির প্রথম স্টেজে আমাদের হৃদপিন্ডের কার্যক্রম শুরু হয়, এবং পরবর্তিতে দেহের সৃষ্টি সুষম হয়। যেমনটা কুরআনে আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, ".. অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ, অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন.." ( সূরা বাকারা ঃ২৮) " তিনি তাকে সুষম করেন, এরপর তাতে রুহ সঞ্চার করেন, এবং তোমাদেরকে দেন কর্ণ, চক্ষু, অন্তঃকরন, তোমরা সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।" ( সূরা আস্- সাজদাহঃ০৯) তাহলে কুরআনে যে বলা হয়েছে রুহ দেওয়ার আগে নিষ্প্রান, তাহলে রুহ আসার আগে গর্ভপাত করলে কী তা হত্যা বলা যাবে? চার মাযহাব ও সেকথাই বলছে। Ashik, AIS, DU
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রশ্ন :

৩ জানুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ