পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা ব্যুরো : খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা শাহপুর মৌজায় ১০ বিঘা জমি দখল-পাল্টা দখল নিয়ে বিরোধের জের ধরে মুখোমুখি অবস্থান করছে দু’গ্রামের মানুষ। যেকোনো সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে মীমাংসার প্রতিশ্রুতি দিলেও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের গাফিলতির কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়ার শাহপুর মৌজার সিএস ১৯৬, ১৯৭, ১৯৮, ১৯৯ ও ২০০নং খতিয়ানে জমির মালিক নাজির হোসেন গাজী। পরে পৈতৃক ও বিক্রয় সূত্রে জমির (১৯৬নং) মালিক হন মৃত ফেদু গাজী গং, ১৯৭ ও ১৯৯ নম্বরের মালিক লুৎফর রহমান মোল্যা গং, ১৯৮ নম্বরে পীর মোহাম্মদ সরদার গং, ২০০ নম্বরের মোঃ আসলাম মোড়ল গং। নাজির হোসেন গাজীর মৃত্যুর পর এসব মালিকরা আর জমির দখলে যেতে পারেননি। নাজির হোসেন গাজীর নামের স্থলে নাজির হোসেন খান ও তার ভাই মহিউদ্দিন আহমেদ খানের নাম বসিয়ে ৪৬ এএস খতিয়ানে রেকর্ড করিয়ে নেয়। পরে তাদের সন্তান মৃত নওশের আলী খানের ছেলে হাবিবুল্লাহ খান, মৃত মনি খানের ছেলে টিটু খান ও লিটু খান, মহিউদ্দিনের ছেলে শহিদুজ্জামান, রফিকুজ্জামান, আসাদুজ্জামান ও শামসুজ্জামান ওই সম্পত্তি দখলে নেয়। জবর দখলে ভোগ করে দীর্ঘ ৩ যুগেরও অধিক সময়। একপর্যায়ে ২০১৪ সালে কাগজপত্রের কপি তুলে নাজির হোসেন গাজী গং জমির দখলে যান। তারপর থেকে পাল্টাপাল্টি মামলা-হামলা ও পুলিশ দিয়ে একপক্ষ অপরপক্ষকে শাসিয়ে আসছে। নাজির হোসেন গাজী গং দেওয়ানী মামলার মধ্যে সীমাবন্ধ থাকলেও অপর গ্রুপটি হয়রানিমূলক বিভিন্ন মামলা দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।
জমির মালিক লুৎফর রহমান মোল্যা বলেন, ‘উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা গত শনি ও রবিবার দু’দিন তদন্তে আসার পূর্বনির্ধারিত দিন ধার্য করলেও তিনি আসেননি। এ অবস্থায় জমিতে আমাদের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ওদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে থানা পুলিশ ও ভূমি অফিসার এসব চক্রান্ত করছেন বলে জানতে পেরেছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা (বিরোধপূর্ণ জমির প্রতিবেশী) খুলনা জেলা কৃষক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি খান খোরশেদ আলম বলেন, অর্থের বিনিময়ে ১৯৬৫ সালে এসএ রেকর্ডে নাজির হোসেন গাজীর স্থলে নাজির হোসেন খান নামটি বসিয়ে জোরপূর্বক দখলে নেয়। জমিতে না এসে মহেশ্বরপাশায় বসে রেকর্ড করার ফলে এধরণের জোচ্চুরির ঘটনা ঘটেছিল। মোটা অংকের টাকা দিয়ে এএস ৪৬ খতিয়ানের রেকর্ডে নাজির হোসেন গাজীর স্থলে নাজির হোসেন খান ও মহিউদ্দিন আহম্মেদ খানের নাম পত্তন করানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী তাদের ছেলে ও পৌপুত্ররা জবর দখল করে খাচ্ছিল। গত দু’বছর কাগজপত্রের বলে জমিটি পুনরায় দখলে নিয়েছে প্রকৃত মালিক নাজির হোসেন গাজী গং।
পৈতৃক সম্পত্তি দাবিদার আসমনি বেগম বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগে আমাদের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা করেছে। এসব মামলায় আমাকেসহ ১৭ জন মহিলাকে আসামী করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। ওরা তো পুলিশ না নিয়ে জমিতে যেতেই পারে না। গত দু’বছর আগে আমরা জমি দখলে নিলেও বর্তমানে টাকা ঠেলে প্রশাসনকে হাত করে আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি আবারো জবরদখলের চেষ্টা করছে ওরা। জীবন দেবো তবুও, পৈতৃক সম্পত্তি ছাড়ব না।’
ডুমুরিয়া উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আদালত থেকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেটা তদন্তের জন্যে সার্ভেয়ার শহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জমির মালিক দাবিদারদের একজন মো. হাবিবুল্লাহ খান বলেন, সর্বশেষ খাজনা পরিশোধ থেকে শুরু করে সকল কাগজপত্র আমাদের আপটুডেট। এখানে কোন যে বিরোধ করছে তারা আমার জানা নেই। গত রবিবার উপজেলা সার্ভেয়ার শহিদুল ইসলাম এসে মেপে যেছেন। জমি ছাড় দেয়া হবে না।
ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের সম্ভাবনা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।