পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : কৃষকের উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি, খাদ্যনিরাপত্তা ও কৃষির সমৃদ্ধি অর্জন নিশ্চিত করার করার লক্ষ্যে গৃহীত কৃষির মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঋণ দিচ্ছে তিনটি সংস্থা। প্রান্তিক কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে গৃহীত ‘ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রামÑদ্বিতীয় পর্যায়’ শীর্ষক ওই প্রকল্পে সহযোগিতা করবে বিশ্বব্যাংক, ইফাদ ও ইউএসএইড। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
জানা গেছে, ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম-দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়ন শেষ হবে ২০২১ সালে। এটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, মৎস্য অধিদফতর, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিট। ১৫ বছর মেয়াদি এ পরিকল্পনার প্রথম অংশ এরই মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। ২য় পর্যায় বাস্তবায়নের জন্য এই চুক্তি অনুষ্ঠিত হচেছ। এর আগে সাত বছর (২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত) মেয়াদি প্রথম পর্যায় বাস্তবায়িত হয়েছে।
প্রকল্পের সারসংক্ষেপ থেকে জানা যায়, সাত বছর মেয়াদি এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২৭১ কোটি ৪ লাখ এবং তিন উন্নয়ন-সহযোগী সংস্থার ঋণ ও অনুদান থেকে ১ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। ঋণ ও অনুদানের টাকার জন্যই আজকের চুক্তি হবে। আজকের ঋণ ও অনুদান চুক্তির মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিকল্পনার বাকি কাজ শেষ হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের ঋণ প্রস্তাব ২০১৫ সালের ৫ জুন সংস্থাটির বোর্ডসভায় অনুমোদন লাভ করে। এখন চুক্তি স্বাক্ষরসহ পরবর্তী বিষয়ে কার্যক্রম চলছে। ইউএসএআইডি ও ইফাদের অনুদান প্রাপ্তির বিষয়ে নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে।
প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, ১০০টি কম্পিটেটিভ রিসার্চ গ্রান্ট (সিআরজি) প্রস্তাব বাস্তবায়ন, ৩৩ প্রোগ্রাম বেজ রিসার্চ গ্রান্ট (পিবিআরজি) প্রস্তাব বাস্তবায়ন, ৪০ উন্নত প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে প্রদর্শন করা, উচ্চশিক্ষা বাস্তবায়নে দেশের অভ্যন্তরে ৮০ জনকে এবং দেশের বাইরে ৬০ জনকে পিএইচডি বৃত্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তি খাত উন্নয়ন, কৃষকদের সংগঠন সিআইজি গঠন, ১ হাজার ৬২১ ফারমার ইনফরমেশন অ্যান্ড অ্যাডভাইস সেন্টার স্থাপন, নির্বাচিত কৃষিপণ্যের উৎপাদন ৮ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।
এদিকে প্রকল্পের আওতায় পণ্য বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং প্রায় ২৮ লাখ ৪১ হাজার কৃষক পরিবারের উন্নয়নসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কৃষি চাহিদাভিত্তিক সম্প্রসারণ সেবা প্রদান এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের কৃষি পণ্যের (ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। বাজার সংযোগ জোরদার করার মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে সহায়ক হবে।
এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় কৃষি গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণের মাধ্যমে প্রতিকূল পরিবেশ ও প্রতিবেশ সহিষ্ণু যেমন বন্যা, খরা, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা, বালাই ইত্যাদি সহিষ্ণু ও অধিক উৎপাদনক্ষম প্রযুক্তি উদ্ভাবন সম্ভব হবে। তাছাড়া প্রকল্পের আওতায় উচ্চশিক্ষা, কৃষক প্রশিক্ষণ, আইসিটি যন্ত্রপাতি সরবরাহ, ল্যাবরেটরি আধুনিকায়ন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা অবকাঠামো উন্নয়ন করা সম্ভব হবে, যা গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।