পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ইসলামিক স্টেট (আইএস) সম্প্রতি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ভূখ- ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের হারানোর ক্ষতি উপলব্ধি করছে। আইএসের প্রধান মুখপাত্র ও খলিফা আল-বাগদাদির ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবু মোহাম্মদ আল-আদনানি একথা বলেন। আদনানি বলেন, আইএস যদি তাদের সকল এলাকা হারায় তাহলে তারা গেরিলা যুদ্ধ চালাবেন। ইতিমধ্যে বাগদাদে আইএসের আত্মঘাতি বোমা হামলার প্রচ-তা বেড়েছে। খবর দি ওয়াশিংটন পোস্ট। শনিবার ইসলামিক স্টেটের ওয়েবসাইটে প্রচারিত এক অডিও বিবৃতিতে তিনি পশ্চিমা লক্ষ্যবস্তুতে আরো সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আইএসের বিজয় লাভেরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আইএসের সিনিয়র নেতাদের নির্মূল ও তাদের শেষ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে জিহাদিরা ভেবে দেখছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বলেন, একজন বা আরো বেশি নেতাকে হত্যা করে কি তোমরা জয়ী হয়েছ বলে ভাবছ? এ হচ্ছে ভুয়া বিজয়। তিনি বলেন, এমনকি আমরা যদি রাক্কা বা সিরতেও হারাই তবুও আমরা পরাজিত হব না। উল্লেখ্য, যুদ্ধক্ষেত্রে পিছু হটলেও বিভিন্ন স্থানে আইএস তাদের উপস্থিতি প্রদর্শনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আল-বাগদাদি সরাসরি বক্তব্য রাখবেন বলে শনিবার আইএস সমর্থকদের মধ্যে দিনভর জল্পনা-কল্পনা চলে। কিন্তু তিনি বক্তব্য রাখেননি। তার বক্তব্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আভাস পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
আল-বাগদাদির মতো আদনানিরও কয়েক দফা মৃত্যুর খবর প্রচারিত হয়েছিল। এ অডিও বক্তৃতা থেকে বোঝা যায় যে, তিনি জীবিত রয়েছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার মিসরীয় বিমান ধ্বংস বিষয়ে কোনো কথা আদনানি বলেননি। উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত কেউ মিসরীয় বিমান ধ্বংসের দায়িত্ব স্বীকার করেনি। সাম্প্রতিককালে আইএস নানা স্থানে যুদ্ধে বিপর্যয়ের শিকার হয় এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হারায় যেগুলোর মধ্যে রয়েছে পালমিরা, রামাদি, সিনজার ও ক’দিন মাত্র আগে সীমান্ত শহর রুতবাহ। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, তারা শহর পুনর্দখলের পাশাপাশি আইএসের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করছেন। এদিকে, আদনানির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আইএসের বিরুদ্ধে ওবামার বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাগকার্ক বলেছেন, মার্কিন কৌশল যে কাজ করছে এটাই তার প্রমাণ। তিনি বলেন, আইএসের দিন ফুরিয়ে এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।