পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতার ও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ-সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের রায় আজ (মঙ্গলবার)। গতকাল সোমবার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় (কজলিস্ট) বিষয়টি রায়ের জন্য ২ নম্বরে রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করবেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। এর আগে গত ১৭ মে হাইকোর্টের দেয়া রায় চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা শুনানিতে অংশ নেন। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন এম আমীর-উল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন সারা হোসেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুলাই ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র শামীম রেজা রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করেন তৎকালীন গোয়েন্দা পুলিশ। ওই বছরের ২৪ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে মারা যান রুবেল। এ ঘটনায় রুবেলের বাবা রমনা থানায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০০২ সালে বিচারিক আদালত ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেন। এরপর তৎকালীন সরকার রুবেল হত্যা তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্দ শেষে কমিটি ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনের পক্ষে সুপারিশ করে। সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট হাইকোর্টে রিট করে। ২০০২ সালের ২৯ নভেম্বর আদালত সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। রুলের শুনানি শেষে ২০০৩ আদালত এ ব্যাপারে কয়েক দফা নির্দেশনা ও সুপারিশ দিয়ে রায় দেন। রায়ে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রচলিত বিধান সংশোধন করতে নির্দেশ দেয়া হয়। এ জন্য বেঁধে দেয়া হয় ছয় মাসের সময়সীমা। আর ধারা সংশোধনের আগে এ ক্ষেত্রে কয়েক দফা নির্দেশনা অনুসরণ করতে সরকারকে বলা হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন সরকার। আপিল বিভাগ সরকারের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ২২ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়ে ১৭ মে শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য আপিল বিভাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।