Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গুপ্তহত্যা তদন্তে কূল-কিনারা নেই অন্ধকারে তদন্তকারী সংস্থা

প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

উমর ফারুক আলহাদী : দেশের চাঞ্চল্যকর হত্যাকা- তদন্তের কোন কূল-কিনারা হচ্ছে না। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা অন্ধকারেই পথ হাঁটছেন। একটি হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটন হতে না হতেই ঘটছে আরো একটি হত্যাকা-। আর এসব ঘটনার পর পরেই তদন্তের আগেই সরকার ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলে দিচ্ছেন বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের নাম। ফলে প্রকৃত হত্যকারীদের গ্রেফতার নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, এসব ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দেশের ভাবমর্যাদা নিয়ে চলছে নানামুখি প্রচারণা। ব্লগার, লেখক, ধর্ম যাজক, পীর, চিকিৎসক ও বিদেশীসহ ২৯ জনকে গত তিন বছরে খুন করা হয়েছে। এসব খুনের সাথে কারা জড়িত, নাকি দেশকে জঙ্গিবাদের আবাদভূমি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে কোন গোষ্ঠী ইসলাম ও দেশবিরোধী কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তাও র‌্যাব পুলিশ কিংবা সরকার জনসম্মুখে উন্মুমোচন করতে পারেনি। অথচ খুনের ঘটনার পরপরই মন্ত্রীরা বলে দিচ্ছেন এসব জামায়াত-বিএনপির কাজ। অন্যদিকে প্রতিটি হত্যাকা-ের পর আইএসের নামে দায়ভার স্বীকার করে অনলাইনে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। যদিও সরকার বারবার বলছে, দেশে কোন আইএস নেই। কিন্ত কারা এধরনের স্বীকারোক্তি দিয়ে আইএসএর উপস্থিতি আছে বলে প্রমাণ করতে চাচ্ছে, সেই রহস্যও সরকার বিশ্বাস যোগ্যভাবে উদ্ঘাটন করতে পারচ্ছে না বলে মনে করছের অপরাধা বিশেষজ্ঞরা। ফলে এ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। জনমনে ছড়িয়ে পড়ছে ভয়াবহ আতঙ্ক। দেশের বিভিন্ন আইনজীবী, অপরাধ বিশেজ্ঞ, মানবাধিকার নেতানেত্রীরা গতকাল ইনকিলাবের কাছে এভাবেই তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা বলছেন, আলামত মোটেও ভাল নয়। একের পর এক যেভাবে ভয়ঙ্কর সব হত্যাকা- ঘটছে তা প্রতিরোধ করতে না পারায় এবং খুনিরা গ্রেফতার না হওয়াতে সরকার ও দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগের সৃষ্টি হযেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গুপ্তহত্যার শিকার ফয়সার আরেফীন দীপেনের পিতা প্রফেসর আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, দেশে আইএস বা জঙ্গি যাই বলেন না কেন, এদের কর্মকা- বন্ধ করতে হলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ সৈন্য প্রত্যাহারের দাবিতে এখনই ঢাকাতে সর্বদলীয় আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে। মার্কিন ও ব্রিটিশ সৈন্যদের দখলদারিত্ব এবং মুসলিমদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের কারণে আইএস, তালেবান বা আলকায়দার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করতে হবে। এ আন্দোলন ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচে ছড়িয়ে দিতে হবে। তা না হলে এসব জঙ্গিবাদ কিংবা গুপ্তহত্যা বন্ধ করা যাবে না।  
তিনি বলেন, আমার মত আরো অনেকেই তাদের সন্তান হারিয়েছেন এবং এখনও এধরনের গুপ্তহত্যা অব্যাহত রয়েছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সরকারীদল ও বিরোধীদলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দেমে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে হবে। দোষারোপের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিদেশী সেন্য প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকায় যদি বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা যায় তাহলে এসব হত্যাকা- থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। তা নাহলে দেশের পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারন করার আশঙ্কা রয়েছে।   
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর জিয়া রহমান গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, দেশে ব্লগারসহ বেশ কয়টি চাঞ্চাল্যকর হত্যাকা- ঘটেছে এবং এ নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর দুর্বলতাকে দায়ী করার পাশাপাশি মহল বিশেষের জঙ্গিদের মদদ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি বলেন, হত্যাকা-ের পর পরই দায় স্বীকার করে আইএসের নামে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা মূলত দেশবিরোধী ষড়যন্তের অংশবিশেষ। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে গবেষণা করেছি এবং আমাদের গবেষণা চলছে। গবেষণায় দেখো গেছে দেশে কোন আইএস নেই। তবে হুজি, জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমসহ বিভিন্ন নামে কিছু জঙ্গি তৎপরতা রয়েছে। এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে জামায়াত-শিবির এধরনের অপরাধ কর্মকা- ঘটাছে। যার সাথে বিএনপিও জড়িত। এসব হত্যাকা-ের সাথে আইএস জড়িত নয়, এটা হলো দেশের রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা। তবে এ ব্যাপারে সরকারের আরো কঠোর হওয়া উচিত। দেশে অপরাধ দমনের জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। এর ব্যর্থতার দায়ভার আইন-শৃংখলা বাহিনী এড়াতে পারে না। এক প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর জিয়া বলেন, তদন্তের আগে কোনধরনের মন্তব্য কারা কারো উচিত নয়। তাহলে তদন্তে বাধা সৃষ্টি হয় এবং অপরাধীরা আড়ালে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রফেসর জিয়া রহমান বলেন, ব্লগারসহ চাঞ্চল্যকর হত্যাকা-ের বিচার কাজ বিশেষ ট্রাইবুনালে অর্থাৎ দ্রুতবিচার আইনে করা প্রয়োজন। তাহলে জনমনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা যেমন কমে আসবে খুনিদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে। খুনিদের  দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ইনকিলাবকে বলেন, শুধু ব্লগার হত্যা নয়, যে কোন হত্যাকা- গুরুতর অপরাধ। এসব হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দায়িত্ব আইন-শৃংখলা বাহিনীর। তবে হত্যাকা-ের পর তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই সরকার বা র‌্যাব পুলিশ বলে দিচ্ছে এর সাথে কারা জড়িত। এতে করে অপরাধীরা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। সরকার বলছেন, দেশে আইএস নেই, আমরাও তা বিশ্বাস করি। কিন্তু এটা শুধু মুখে বলেই হবে না, তথ্য সহকারে প্রমাণ করার দায়িত্ব সরকারের। কিছু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশে জঙ্গি রয়েছে বলে যেভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাছে তা থেকে বের হয়ে আসতে সকল রাজনৈতিক দলসহ সরকারকে এ ব্যাপারে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ড. শাহদীন মালিক আরো বলেন, অপরাধীদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি এ ধরনের হত্যাকা- প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরো সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।  
দেশে গত তিন বছরে ব্লগারসহ ২৯টি চাঞ্চল্যকর হত্যাকা- ঘটেছে। এসব হত্যাকা-ের একটি  মামলারও বিচার কাজ শেষ হয়নি। তবে বগুড়ায় জিয়া উদ্দিন জাকারিয়া বাবু হত্যার ঘটনায় তিন শিবির কর্মী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ দাবী করেছে। এই মামলার শিগগির চার্জশিট দেয়া হবে বলে জানা গেছে। খিলগাঁওয়ে ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় হত্যা মামলায় ডিবি দাবি করেছে চারজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে হত্যা সংশ্লিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত তারা আদালতে এ সংক্রান্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি। এর মধ্যে একমাত্র আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা মামলায় পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়া লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় ও প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপনসহ সাত ব্লগার হত্যা মামলার তদন্তে তেমন কোন অগ্রগতি নেই।
তবে ডিবি বলছে, গত তিন বছরে দেশে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর নামে ৩৭ বার হামলা করেছে। এসব হামলায় ২৭ জনকে হত্যা করেছে। হামলার ঘটনায় ১৪৪ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। হামলার মামলায় মোট ৪৯ জন জঙ্গি আদালতে স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। হামলার ঘটনায় দায়ের করা ৩৭টি মামলার মধ্যে মাত্র একটির বিচার সম্পন্ন হয়েছে, ৬টি মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ, আর ৩১ মামলা তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। জঙ্গি হামলারগুলোর মধ্যে ২৫টি হামলা করেছে জেএমবি সদস্যরা। এছাড়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ৮টি হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। আর ৪টি ঘটনা ঘটিয়েছে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠন। এসব জঙ্গি হামলার ঘটনা ২০১৩ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বচরের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এসব হত্যাকা- ঘটে।
ডিবি ও বিভন্ন গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর পল্লবীতে বস্নগার রাজিব হায়দার হত্যার ঘটনায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মামলার বিচারে ২ জনের মৃত্যুদ- ও ৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। তিন বছরে জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলোর মধ্যে এই মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। অন্য জঙ্গি হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে, রাজধানীর উত্তরায় আসিফ মহিউদ্দিনের ওপর হামলা, টিএসসির কাছে বস্নগার অভিজিৎ রায় হত্যা, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা, আশুলিয়ায় কমার্স ব্যাংকে হামলা ও ডাকাতি, সিলেটে বস্নগার অনন্ত বিজয় হত্যা, রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ব্লগার নিলাদ্রী চ্যাটার্জি নিলয় হত্যা, চট্টগ্রাম বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় ফকির রহমত উল্লাহ ওরফে লেংটা ফকির ও খাদেম হত্যা, চট্টগ্রামের সদরঘাটে শাহ করপোরেশনে ডাকাতি ও নিরাপত্তাকর্মী হত্যা, রাজধানীর গুলশানে ইটালিয়ান নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা, রংপুরে জাপানি নাগরিক হোচি কোনিও হত্যা, ঈশ্বরদীতে খ্রিস্টান যাজক লুক সরকারের ওপর হামলা, রাজধানীর বাড্ডায় প্রকৌশলী খিজির খান হত্যা, মিরপুরে এএসআই ইব্রাহিম হত্যা, পুরনো ঢাকায় হোসেনী দালানে তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা, শাহবাগে ব্লগার ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা, মোহাম্মদপুরে শুদ্ধস্বর প্রকাশনীতে হামলা, আশুলিয়ায় পুলিশ কনস্টেবল মুকুল হত্যা, রংপুরে বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা রুহুল আমিনের ওপর হামলা, রংপুরের কাউনিয়া এলাকায় খাদেম রহমত উল্লাহ হত্যা, সৈয়দপুরে মাজারের খাদেমের ওপর হামলা, দিনাজপুরে ইটালিয়ান নাগরিক ডা. পিয়েরো পারোলারিকের ওপর হামলা, ফরিদপুরে অলোক সেনের ওপর হামলা, বগুড়ায় শিয়া মসজিদে হামলা, দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কান্তজিউ রাস মেলায় বোমা হামলা, দিনাজপুরের কাহারোলে ইসকন মন্দিরে বোমা হামলা, দিনাজপুরের দিপ্তী ফিলিং স্টেশনে হামলা, রাজশাহীর বাগমারায় আহমদিয়া মুসলিম জামায়াত মসজিদে বোমা হামলা, ঝিনাইদহে ডাক্তার ছমির উদ্দিন মন্ডল হত্যা, গাইবান্ধায় হিন্দু ব্যবসায়ী তরুণ দত্ত হত্যা, পঞ্চগড়ে মঠপ্রধান হত্যা, ঝিনাইদহে আবদুর রাজ্জাক হত্যা, কুড়িগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা, ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান হোসেন আলী সরকারকে কুপিয়ে হত্যা, পুরনো ঢাকার সূত্রাপুর থানার ব্লগার নাজিম উদ্দিন সামাদ হত্যা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা, রাজধানীর কলাবাগানে জুলহাজ মান্নান এবং তার বন্ধু খন্দকার মাহাবুব রাব্বী তনয় হত্যা এবং টাঙ্গাইলের গোপালপুরে হিন্দু দরজি নিখিল হত্যা। সর্বশেষ কুষ্টিয়ায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হত্যা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গুপ্তহত্যা তদন্তে কূল-কিনারা নেই অন্ধকারে তদন্তকারী সংস্থা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ