Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোয়ানুতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৮ হাজার ঘরবাড়ি, লক্ষাধিক পরিবার

চট্টগ্রামেই ক্ষতিগ্রস্ত ৫ লাখ মানুষ

প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:৫৮ পিএম, ২৩ মে, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : দেশের উপকূলীয় ১১ জেলায় এক লক্ষাধিক পরিবার ক্ষতিগস্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার। বিভিন্নস্থানে ভেঙে গেছে ভেড়িবাঁধ, বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ, ভেসে গেছে মৎস্য ঘের। ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে রাস্তাঘাটের।
সরকারি তথ্যে ঘূর্ণিঝড়ে সারা দেশে মারা গেছেন ২৪ জন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ রোববার সন্ধ্যার ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য থেকে এসব বিষয় জানা গেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান ও সমন্বয় কেন্দ্র (এনডিআরসিসি) উপকূলীয় ১১ জেলা থেকে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে। জেলা প্রশাসক, জেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও), জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার (ডিআরও) মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, উপকূলীয় জেলার সংখ্যা ১৮টি। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম বন্দর সচল
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়,গত শনিবারের ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু ও এর ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের ধকল এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের উপকূলবাসী। অনেক এলাকা ভাসছে সামুদ্রিক জোয়ারের পানিতে। বেড়িবাঁধ আগে থেকে না থাকা, ভাঙাচোরা অবস্থা কিংবা শনিবার আরও বিধ্বস্ত হওয়ার কারণেই বিস্তীর্ণ এলাকা, জনপদ, ফসলের মাঠ, চিংড়ি ঘের ডুবভাসি করছে। পানিবন্দি হয়ে আছে হাজার হাজার মানুষ। তবে রোয়ানু কেটে যাবার পরদিন রোববার থেকে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর পুরোদমে সচল হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজজটের সমস্যা এড়াতে রাতের বেলায়ও জাহাজ চলাচল করানো হচ্ছে। বহির্নোঙ্গরেও আমদানি পণ্যসামগ্রীর লাইটারিং খালাস কাজ চলছে। শিপিং অঙ্গনে সচলতা ফিরে এসেছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রোববার ফের পুরোদমে চালু হয়েছে।   
এদিকে শনিবার ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার উপকূলীয় এলাকার ১০৪টি ইউনিয়নের ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬ জন লোক কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৪১১ জন মানুষ। আর আংশিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন ৪ লাখ ১ হাজার ৬৭৫ জন মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য তুলে ধরেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। গত রোববার সন্ধ্যা ৭টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে উক্ত পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।    
সভায় আরও জানানো হয়, চট্টগ্রামে রোয়ানুর আঘাতে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ১৯ হাজার ৪৩৭টি পরিবার সম্পূর্ণরূপে এবং ৮৩ হাজার ৬৬০টি পরিবার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের হিসাব দিয়ে জানানো হয়, ১৫৪ একর ফসল সম্পূর্ণ এবং ২ হাজার ৫৪১ একর ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলায় ২০ হাজার ৮৯২টি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে ও ২৫ হাজার ৭৬৬টি ঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ১২টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আংশিক এবং ৪৭ কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ এবং ১৪৪ একর সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ে ২৭ কিলোমিটার উপকূলীয় বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ও ৬৬ কিলোমিটার বাঁধ আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গবাদি পশুর মধ্যে ৮০টি গরু ও ৪০ হাজার ৫৫০টি হাঁস-মুরগি ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ভেসে মারা গেছে।
পাঙ্গাশিয়া-জোলাগাতি  ভেড়িবাঁধে ভাঙন
কাউখালী (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, রোয়ানুর প্রভাবে কাউখালীর পাঙ্গাশিয়া-ফলইবুনিয়া- জোলাগাতি প্রায় ৭ কিলোমিটার ভেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থান থেকে ভেঙে গেছে। ফলে জোয়ারের পানি ঢুকে ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় বাড়ীঘর। গতকাল সোমবার বিকালে খবর পেয়ে ওই এলাকায় গেলে দেখা যায় পাঙ্গাশিযা খালের মোহনায় দুইপাড়ের অনেক অংশ, ফলইবুনিয়া হাতেম আলী সিকদারের বাড়ী এলাকায় এবং সাপলেজা, জোলাগাতি এলাকায় বেশিরভাগ বাঁধ ভেঙে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ফলইবুনিয়া এলাকার ইউপি সদস্য মাহমুদ হোসেন ভাঙনকবলিত এলাকা দেখিয়ে জানান বাঁধটি দীর্ঘ দিন ধরে ভাঙনের কবলে পতিত। স্থানীয়ভাবে কয়েকবার বিভিন্ন অংশে মেরামত করা হয়। রোযানুর প্রভাবে শনিবার অনেক স্থান থেকে বাঁধ ভেঙে গেছে।  
খাগড়াছড়িতে বিদ্যুৎ এলো ৬২ ঘণ্টা পর
খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর সাথে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি থেকে গেলো। আর এলো ৬০ ঘণ্টা পর সোমবার দুপুরে। তবে এখনো জেলার আংশিক এলাকায় বন্ধ বিদ্যুৎ সরবরাহ। ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয়েছে খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের আওতাধীন প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহক।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা ছাড়াও রাঙ্গামাটির তিন উপজেলায় টানা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এতে করে নানা দুর্ভোগে পড়ে কর্মজীবী, শিক্ষার্থী, গৃহিণী, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। অনেক বাসা-বাড়ীতে গোসল ও রান্না বন্ধ হয়ে যায়। পচে যায় ফ্রিজে রাখা খাবার।
জিওব্যাগ-পাথর তলিয়ে গেছে
চরফ্যাশন উপজেলা সংবাদদাতা জানান, টানা ২ দিনের প্রবল বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে চরফ্যাশনের নির্মাণাধীন নতুন বেড়িবাঁধসহ মেঘনা ভাঙ্গন রক্ষার জিওব্যাগ, ঘানিব্যাগ, পাথর, বালি, নির্মাণ সামগ্রী জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি ও মেঘনার জোয়ারের পানি বিতরের প্রবেশ করে খামার ও পুকুরের কোটি কোটি টাকার মাছের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাদ্রাজ, আসলামপুর ডালচর, কুকরি-মুকরির, মজিব নগর, চরপাতিলার খামার চাষিরা হতাশা হয়ে পরেছে। ছোট ছোট মৎস্য চাষিরা মাথায় হাত দিয়ে খামারের পাশে বসে দুঃখ প্রকাশ করাছে। এদিকে ভোলা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমস্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও মেঘনার প্রবল ঘ্রাস থেকে রক্ষা করতে ব্যাপক প্রদক্ষেপ হাতে নিয়েছে এবং কাজ ও দ্রুত করা শুরু করে দিয়েছে। তার মধ্যে গত ২১ ও ২২ মে ২ দিনের টানা প্রবলবর্ষণে ও রোয়ানুর আঘাতে কোটি কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে সিএস পাইভ ব্লকের খান ট্রেডার্স নামের ৫ নাম্বার বেডের  বেড়িবাঁধ চরমাদ্রাজ এলাকা দিয়ে ১কিঃ নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের প্রায় ৫০ পার্সেট মাটি বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাতে মেঘনার অতি জোয়ারের পানিতে নিয়ে গেছে। খালি জিও ব্যাগ, টোক বালি ৩ থেকে ৪ শত বস্তা সিমেন্ট, ভর্তি ঘানি ব্যাগের প্রায় ৩০ হাজার বস্তা, পাথর, টোকবালি, মেসিন, তেলের ব্যারেল, থাকার ঘরসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মালামাল।
পটুয়াখালীতে ২২ কিলোমিটার ভেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত
পটুয়াখালী জেলা সংবাদাদাতা জানান, ঘূর্নিঝড় রোয়ানু উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে মূলত ক্ষতি হয়েছে নদীমাতৃক এ জেলার জনমানুষের জানমালের  নিরাপত্তায় পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধগুলো। পটুয়াখালী জেলার ৮টি উপজেলায় পানি উন্ন্য়ন বোর্ডের ২২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৬.৫ কিলোমিটার পূর্ণ, ১৫.৫ কিলোমিটার আংশিক বেড়িবাঁধ বিনষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী ও কলাপাড়া জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শাহ নেওয়াজ মো: আবুল খায়ের। জেলার চরাঞ্চলের মানুষের জানমালের রক্ষার্থে এ বেড়িবাঁধগুলো বড় ধরনের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। ঘূর্নিঝড় রোয়ানের আঘাতে এবারের ঝড়ে জেলার জেলার কলাপাাড় উপজেলার নিজামপুর, লালুয়া, রাংঙ্গাবালী উপজেলার চরআন্ডা, চরবেষ্ঠিন, চর মোন্তাজ, চর-মোন্তাজ এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে পাশাপশি অতিবৃষ্টির কারণে লোকালয়ে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের ক্ষতি সম্পর্কে নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে বিক্ষিপ্তভাবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ক্ষতি হয়েছে,ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করতে ১ কোটি টাকার বেশী প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া নদ-নদীতে পানিবৃদ্ধিসহ ঝড়ের কারণে জেলার ৫টি ফেরিঘাটে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে জেলার অধিকাংশ ফসলী জমিতে তেমন কোন শস্য না থাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক একেএম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী জেলার  ৮টি উপজেলায় ১৩২২ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি, ১৯৬ হেক্টর আউশ বীজতলা, ৪৬ হেক্টর জমির পান বরজ, ক্ষতি হয়েছে। এ দিকে জেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের রবিশস্য চাষী ফারুক মুন্সী জানান, প্রায় ১ একর জমিতে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ঝিঙ্গা, রেখা, শসা চাষাবাদ করেন তিনি এবারের ঝড়ে তার জমিতে অতিবৃষ্টির কারণে পানি জমি এবং বাতাসের তোড়ে গাছপালার বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে, তবে যদি পুনরায় অতিমাত্রায় বৃষ্টি হয় তবে তার ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে না।
সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে জেলার মৎস্য খাতে জেলার সকল পুকুর ও মাছের ঘেরে অতিমাত্রার বৃষ্টিসহ জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এমনকি জেলা শহরের সবচেয়ে বড় নিরাপাদ উঁচু স্থান সার্কিট হাউজ সংলগ্ন সাউদান ফার্মের পুকুর তলিয়ে  প্রায়  ৪ লাখ টাকার মাছ তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ঐ পুকুরের মৎস্য চাষী আক্তারুজ্জামান জেলার প্রত্যন্ত রাঙ্গাবালী উপজেলার মৎস্য ঘেরের মালিক লৎফর রহমান বাবুল  জানান, অতিমাত্রার বৃষ্টি, জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে তার ঘের তলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ভেসে যায়। একই অবস্থা ঐ চরের আতিক মনিরের।
রোয়ানের আঘাতে আহত ১ জনের মৃত্যু
পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানের প্রভাবে গতকাল শনিবার সকালে পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার পাংগাশিয়া গ্রামে ঘরের উপর গাছ পড়লে ঘর চাপায় শীলা রানী দাস (৭০) নামে এক বৃদ্ধা গুরুতর আহত হয়। রোববার সকালে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক একেএম শামিমুল হক ছিদ্দিকী।
নিহতের বাড়ী ভোলা উপজেলার লালমোহন উপজেলায়, তিনি মেয়ের বাড়ীতে বেড়াতে এসেছিলেন।



 

Show all comments
  • খাইরুল ইসলাম ২৪ মে, ২০১৬, ১১:৩৪ এএম says : 0
    আমাদের সকলের উচিত তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোয়ানুতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৮ হাজার ঘরবাড়ি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ