পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবিতে আবারও রাজপথে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা। শ্রমিক জনসভার মধ্যদিয়ে পাটকল ধর্মঘটসহ সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। এর আগে বিজেএমসি’র চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর আন্দোলন ছাড়া দাবি আদায় সম্ভব নয় বলে মনে করছেন পাটকল শ্রমিক নেতারা।
খুলনা মহানগরীর খালিশপুর বিআইডিসি সড়কে অনুষ্ঠিত শ্রমিক জনসভা থেকে তৃতীয় দফা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ ও রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ পরিষদের পক্ষ থেকে ওই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সারাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ২২টি পাটকলের শ্রমিকরা এ কর্মসূচি পালন করবেন।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, রোববার পহেলা বৈশাখ সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল, আগামী ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল টানা ৯৬ ঘন্টা পাটকল ধর্মঘট এবং প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ। এছাড়া আগামী ২৫ এপ্রিল গেটসভা এবং ২৭, ২৮ ও ২৯ এপ্রিল ৭২ ঘন্টার পাটকল ধর্মঘটসহ প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ।
পাটকল শ্রমিকরা জানায়, অন্যান্য খাতে ২০১৫ সালে মজুরি কমিশন গঠন ও বাস্তবায়ন করা হলেও পাটকল শ্রমিকদের জন্য তা করা হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ বিষয়টা নিয়ে শ্রমিকদের কোনো আন্দোলন করতে দেয়নি। শ্রমিক লীগের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের বোঝানো হয়েছে এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। তবে দীর্ঘদিনেও ওই আলোচনার ফল শ্রমিকরা দেখতে না পাওয়ায় সাধারণ শ্রমিকদের চাপে এবার পাটকল শ্রমিক লীগ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে। সে কারণেই সংগঠনটির পক্ষ থেকে গত দুই মাসে কয়েক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আর শ্রমিক লীগের আহ্বানে সারাদেশের পাটকল শ্রমিকরা ওই কর্মসূচি সফল করতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের খুলনা-যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক ও খুলনার ক্রিসেন্ট জুট মিলের সিবিএ সভাপতি মুরাদ হোসেন বলেন, গত ৬ এপ্রিল ঢাকায় বিজেএমসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিক লীগ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফা বৈঠক ফলপ্রসু না হওয়ায় বিকেলে আবারও বিজেএমসি চেয়ারম্যানসহ অন্যদের নিয়ে ছোট পরিসরে বৈঠক করা হয়। কিন্তু সেখানেও দাবি মেনে নেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত তারা দিতে পারেননি। সরকার টাকা দিলে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি দেয়া হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। কিন্তু কবে নাগাদ ওই টাকা পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করে বলেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।