পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ব অর্থনীতি এখন সংকটকাল অতিক্রম করছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মন্দার পূর্বাভাস না দিলেও অনেক নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে। গত মঙ্গলবার বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে আইএমএফের ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ প্রতিবেদনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়, ২০১৯ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে তিন দশমিক তিন শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় কম। তবে ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি আবার তিন দশমিক ছয় শতাংশে পৌঁছাবে। ২০১৮ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয় তিন দশমিক ছয় শতাংশ।
প্রতিবেদনমতে, শ্লথ প্রবৃদ্ধির কবলে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ইউরোজোনের (ইউরো) মুদ্রা ব্যবহারকারী দেশগুলো মতো অঞ্চলগুলো। গত জানুয়ারিতে আইএমএফের পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি বছর ব্রিটেনের প্রবৃদ্ধি হবে এক দশমিক দুই শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় শূন্য দশমিক তিন শতাংশ কম। ২০২০ সালে যে প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল, তা আরও কমবে। সেইসঙ্গে আগামী বছর জার্মানি ও ইতালির প্রবৃদ্ধি কমবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
আইএমএফের আশঙ্কা, উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গে লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর প্রবৃদ্ধিও কমবে। চলতি বছর চীনের প্রবৃদ্ধি সামান্য বাড়লেও আগামী বছর কমবে বলে আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
এ ছাড়া এশিয়ার উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি ২০১৯ সালে ছয় দশমিক তিন শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। আগামী বছর তা কিছুটা কমে হবে ছয় দশমিক দুই শতাংশ। এই উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে আছে বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রæনাই, দারুসসালাম, কম্বোডিয়া, ফিজি, কিরিবাতি, মালদ্বীপ, মিয়ানমার ও নেপালের মতো দেশগুলো।
ঝুঁকির বিষয়গুলো তুলে ধরে গীতা গোপীনাথ বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা আবারও বাড়তে পারে এবং নতুন নতুন অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি গাড়ির বাণিজ্যের কথা উল্লেখ করেছেন বিশেষভাবে। কারণ আমদানি করা পণ্যের ওপর নতুন করে কর আরোপের কথা ভাবছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গীতা গোপীনাথ মনে করেন গত বছরে প্রবৃদ্ধি কমার পেছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ ( ব্রেক্সিট) নিয়েও ঝুঁকি আছে বলে জানান গীতা গোপীনাথ। ব্রিটেনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন ব্রেক্সিটের ওপরই নির্ভর করছে। তিনি মনে করেন, কোনো চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট হলে তা ব্রিটেন ও ইইউ দুই পক্ষের জন্যই ব্যয়বহুল হবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।