পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের বস্ত্র এবং জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত নিনা ভাসকুনলাতি বলেছেন, তার দেশ বর্জ্য থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়।
আজ অপরাহ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান। এ সময় রাষ্ট্রদূত রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদেরকে দ্রুত নিজ বাসভূমে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রবেশ এবং কক্সবাজারে আশ্রয় গ্রহণের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের সংখ্যা বর্তমানে স্থানীয়দেরকেও ছাড়িয়ে গেছে। কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ কেবল মানবতার স্বার্থে তাদের সকল দুর্ভোগ বরণ করে নিয়েছে।
ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এ সময় বিগত নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন করে চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ উন্নয়নেরও ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আপনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রæতলয়ে এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, ফিনল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে শিক্ষা এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থীর ফিনল্যান্ডে পড়াশোনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, দুটি দেশের মধ্যে আগামী মে মাসে ফরেন অফিস কনসালটেন্সি অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ উচ্চ মানসম্পন্ন চামড়া এবং চামড়াজাত দ্রব্য প্রন্তুত করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিনল্যান্ড চাইলে এখান থেকে এসব পণ্য নিজ দেশে আমদানি করতে পারে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নই সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এবং ফিনল্যান্ডের অনারারী কনসাল জেনারেল আজিজ খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে সফররত ভারতীয় প্রতিরক্ষা সচিব সঞ্জয় মিত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক ল্যান্ড বাউন্ডারি এগ্রিমেন্টের (এলবিএ) কথা উল্লেখ করে চুক্তিটি ভারতের জাতীয় সংসদে সর্ব সম্মতিক্রমে পাশ হওয়ায় ভারত সরকার এবং দেশটির সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ভারতের সকল রাজনৈতিক দল দেশটির সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে এই সীমান্ত চুক্তি বিলটি পাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের কথা স্মরণ করেন। ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা বিষয়ে দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়গুলো উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা দাস গাঙ্গুলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।