পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ দাবি করেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ এখন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা মোকাবেলায় অনেক এগিয়ে। শেখ হাসিনা সরকার এই সকল দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় বিএনপি সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। সে সময় প্রায় ৩৮ হাজার লোককে প্রাণ দিতে হয়েছিল। আর ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনা সরকারের সময় এত বড় বন্যা হলেও কোন লোক মারা যায়নি।
তিনি বলেন, আর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী বিদেশে থেকেও সব সময় টেলিফোনে খোঁজ-খবর রেখেছেন। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি থাকায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মাত্র ৫/৬ জন লোক মারা গেছে।
স্বাধীনতার পূর্বের কথা উল্লেখ করে আশরাফ বলেন, পূর্ব পাকিস্তান আমলে এখনকার মত কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় মানুষকে আগে সচেতন করা যেত না। দেশের মানুষকে নিরাপদ স্থানে নেয়া সম্ভব হয়নি। তখন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য একটি হেলিকপ্টারও ছিল না। দেশ স্বাধীন হওয়ার ফলে আমরা দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম হচ্ছি।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে না আসলে, বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকত। দেশের বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের দেশ অনেক পিছিয়ে থাকত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুলগেরিয়া থাকাকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বাংলাদেশের কাছ থেকে অনেক কিছু তাদের শেখার আছে। এই প্রশংসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব ও অসাধারণ যোগ্যতার অর্জন।
শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।