পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তি কমাতে এই খাতে সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে অবসর সুবিধার জন্য ৫০০ কোটি টাকা ‘সিডমানি’ ও ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ হিসেবে দেয়া হচ্ছে। আর কল্যাণ সুবিধার জন্য থোক বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ৫০ কোটি টাকা। এ ছাড়া এই খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে কেটে নেয়া মাসিক টাকার পরিমাণও বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
গতকাল (শনিবার) ধানম-িতে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে (টিটিসি) হজে যেতে ইচ্ছুক অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ সুবিধার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় অনুষ্ঠানে অবসরে যাওয়া এক হাজার ৩৭ জনকে অবসর ও কল্যাণ সুবিধার জন্য মোট ৪৯ কোটি ৪১ লাখ ৪৮ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধার টাকা যথাযথ সময়ে পরিশোধ করতে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়ে একটি তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে এত দিন মূল বেতনের যে অংশ কেটে রাখা হতো, তার হারও বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে প্রতি মাসে একেকজন শিক্ষক-কর্মচারীর কাছ থেকে অবসরের জন্য মূল বেতনের ৬ শতাংশ ও কল্যাণ-সুবিধার জন্য ৪ শতাংশ টাকা করা করা হচ্ছে। বর্তমানে একেকজন শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে অবসরের জন্য ৪ শতাংশ ও কল্যাণ-সুবিধার জন্য ২ শতাংশ টাকা কেটে রাখা হয়।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসরে যাওয়ার চার বছর পরও অবসর ও কল্যাণ-সুবিধার টাকা পান না। এই তহবিলে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা না থাকায় এ নিয়ে তাঁদের ভোগান্তির শেষ নেই। সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার। অবসরের পরপরই টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও এ জন্য এখন তাঁদের চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নিজের প্রাপ্য টাকা পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। শুধু তাই নয় বেশ কিছু সংখ্যক শিক্ষক অবসর সুবিধার টাকা পাওয়ার আগেই মারা যান। বর্তমানে প্রায় ৪৪ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অবসর-সুবিধার টাকা পেতে অবসর-সুবিধা বোর্ডে আবেদন করেছেন। আর কল্যাণ-সুবিধার জন্য আবেদন জমা আছে প্রায় ৩০ হাজার। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন পদক্ষেপের ফলে আবেদন জমাকারীদের অবসর ও কল্যাণ সুবিধার চেক দেওয়ার পথ সুগম হবে।
নাহিদ বলেন, শিক্ষার সবচেয়ে বড় নিয়ামক শক্তি শিক্ষকদের অধিকাংশই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত। অপরের সন্তান মানুষ করার মহান পেশায় তাঁরা সারা জীবন খেটে যান। অবসরগ্রহণের পর এসব নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক দুর্ভোগে জীবন কাটাবেন এটা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার শিক্ষকদের কল্যাণে সম্ভাব্য সব কিছু করবে।
শিক্ষাসচিব মোঃ সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব শরীফ আহমদ, কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যসচিব শাহজাহান আলম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।