প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : ১. মসজিদের বাইরে উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে আজান দেয়া। ২. যথাসম্ভব উচ্চস্বরে আজান দেয়া দরকার। তবে একা একা নামাজ আদায়ের জন্য স্বাভাবিকভাবে আজান দিলেও চলবে। ৩. আজানের সময় শাহাদাত আঙুল দ্বারা উভয় কানের ছিদ্র বন্ধ করে রাখা মুস্তাহাব। ৪. মদ ও গুন্নাহ আদায়পূর্বক আজানের শব্দগুলো লম্বা করে থেমে থেমে বলা সুন্নত, যাতে প্রত্যেক বাক্য উচ্চারণের পর শ্রোতারা জবাব দিতে পারে। ৫. ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলার সময় যথাক্রমে ডান দিকে এবং বাম দিকে মুখ ফিরানো সুন্নত। ৬. আজান ও ইকামতের সময় কিবলার দিকে ফিরে থাকা সুন্নত। ৭. আজান দেয়ার সময় ‘হদসে আকবর’ থেকে মুক্ত বা পবিত্র হওয়া সুন্নত। বে-গোসল অবস্থায় আজান দেয়া মাকরূহে তাহরিমী। ৮. ফরজে আইন ব্যতীত অন্য কোনো নামাজের জন্য আজান-ইকামত লাগে না। যেমন জানাজা নামাজ, বিতর নামাজ, ঈদের নামাজ, কুসূফ-খুসূফের নামাজ ও ইস্তেস্কার নামাজ। ৯. আজান বা ইকামত দেয়ার সময় কথা বলা নিষেধ।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।