পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সউদি আরব সফরসূচি চূড়ান্ত হয়েছে। তিনি আগামী ৪ থেকে ৬ জুন সউদি আরব সফর করবেন। ৫ জুন জেদ্দায় সউদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। সউদি সরকার ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় চূড়ান্ত করে বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে।
এবারের সফরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হচ্ছে- সউদির শ্রমবাজার সম্পূর্ণ উন্মুক্ত, বিনিয়োগ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে অন্যান্য সহযোগিতা।
সউদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ ও উপ-যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আল সউদের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন বলে কূটনৈতিক সূত্র জানায়।
গত বছর বাদশাহ সালমান শেখ হাসিনাকে সউদি সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান। ঢাকা ও রিয়াদের কর্মকর্তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি চূড়ান্ত করছেন। একটি সূত্র জানায়, প্রচ- গরমের কারণে সউদি বাদশাহ ও তার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দুই সপ্তাহ আগে রিয়াদ থেকে জেদ্দা গেছেন। সেখান থেকেই বাদশাহের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সউদি সরকার ও রাজ পরিবারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও বৈঠক করবেন।
শীর্ষস্থানীয় সউদি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া সউদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেবেন বলে জানা গেছে। এর আগে ২০০৯ সালে তিনি দ্বিপক্ষীয় সফরে সউদি আরব গিয়েছিলেন। গত কয়েক বছরে ঢাকা ও রিয়াদের সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ ও শক্তিশালী হয়েছে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়েও সফর হয়েছে। সউদি আরবে প্রায় ২৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছে। দেশটির শ্রম বাজারে আধাদক্ষ ও দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ সউদিতে আরো বেশি হারে জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চায়। সম্প্রতি সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে বাংলাদেশ-সউদি আরব অংশীদারিত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।