Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কূটনৈতিক চাপে অস্বস্তিতে সরকার

প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

তারেক সালমান : সারা দেশে চলমান অপহরণ, গুম, জঙ্গিদের চোরাগোপ্তা খুন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতাদের ফাঁসি কার্যকরসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আবারও কূটনৈতিক চাপে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে আওয়ামী লীগ ও সরকার। এসব ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিগুলো বারবারই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। সর্বশেষ জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামীর যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ফাঁসি কার্যকরের পর পাকিস্তানের পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ তুরস্কের কঠোর প্রতিক্রিয়াও সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকদের ধারণা, ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনের পর ধীরে ধীরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্বস্তি বোধ করলেও যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশের নেতিবাচক অবস্থানে অস্বস্তিতে আছে সরকার ও আওয়ামী লীগ। দেশগুলো নির্বাচন নিয়ে তাদের তোলা প্রশ্নে এখনও অটল রয়েছে।
সর্বশেষ গত বুধবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থানই বহাল রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র এখনও বাংলাদেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। এ বিষয়টিতে আমাদের পূর্বের অবস্থান এখনও রয়ে গেছে, এটার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অত্যন্ত সুস্পষ্ট। গত ২০১৪ সালে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হয়েছিল। সেটি ছিল একতরফা নির্বাচন। নির্বাচনের পরই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য তাগাদা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। আমরা এখনও একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চাই। আমরা এখনও চাই বাংলাদেশের মানুষেরা একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যাতে অংশ নিতে পারে। পৃথিবীর অন্যান্য জায়গার মতো আমরা বাংলাদেশেও মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা ও সংবাদ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেখতে চাই। সত্যিকার অর্থে আমাদের আগের অবস্থান এখনও রয়ে গেছে, এটার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডাসহ পশ্চিমা কূটনৈতিক মহলে সব দলের অংশগ্রহণে নতুন নির্বাচনের কথা ওঠায় সরকারের শীর্ষ পর্যায় বেশ চাপে আছে। পরিস্থিতি উত্তরণে দেশে-বিদেশে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সহায়তাও নেয়া হচ্ছে বলে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে নীতি-নির্ধারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউর মতো দেশগুলো কোনো একটি দলকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার কথা ভাবছে না। তারা সামগ্রিক বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েই উদ্বিগ্ন। তাদের কাছে মূল বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রাজনৈতিক শত্রুতার অসুস্থ সংস্কৃতি। ফলে দশকের পর দশক ধরে এই দুটো দলের মধ্যে পারস্পরিক অসহযোগিতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্যও চাপ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলো। এ কারণেই রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের পথে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া না হলে এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হলে একপর্যায়ে বাণিজ্যিক অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতারও শিকার হতে পারে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে, গত কয়েক বছর যাবৎ বাংলাদেশী নাগরিকদের অনেক দেশ ভিসা প্রদান বন্ধের পাশাপাশি ঢাকা থেকে তাদের দূতাবাসের কার্যক্রমও আংশিক বা পুরোপুরি স্থানান্তর করছে। ফলে বাংলাদেশী নাগরিকরা এখন নতুন বিড়ম্বনার মুখে পড়তে যাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ডিগ্রেডেড হচ্ছে বাংলাদেশ। মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশই ঢাকা থেকে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য টুরিস্ট ভিসা ইস্যু করে না। এমনকি নতুন করে শ্রমিক ভিসাও বন্ধ করে রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশ। আরব আমিরাত ও বাহরাইন বাংলাদেশীদের জন্য ভ্রমণ ভিসা ইস্যু করতো। এখন তারাও ঢাকা থেকে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে। গত মার্চ মাস থেকে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ বাংলাদেশে দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। কানাডাও কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়টি সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করেছে। ব্রিটেনও তাদের ভিসা বিষয়ক কার্যক্রম দিল্লীতে স্থানান্তর করেছে। ইউরোপের বেশ কিছু দেশ বাংলাদেশ থেকে বিগত সময়ে তাদের দূতাবাস গুটিয়ে নিয়েছে। মালয়েশিয়ার ভিসা পেতে যেখানে আগে ২-৩ দিন সময় লাগত, এখন সেখানে দেড়-দুই সপ্তাহ লেগে যাচ্ছে। ভিসাব্যবস্থা সহজীকরণের কথা বারবার বলা হলেও বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভিসা পেতো এখন ক্ষেত্রবিশেষে এক মাসের মতো সময় এবং কয়েক হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। এর সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে দেশে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকরে মুসলিম প্রধান দেশ তুরস্কের বিরূপ প্রতিক্রিয়া। নিজামীর ফাঁসির প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেশটি এদেশ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ইতোমধ্যেই প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এখন দেশটির সঙ্গে সরকারী বা বেসরকারী যেকোনো যোগাযোগ দেখভাল করছেন দিল্লীতে নিযুক্ত দেশটির দূতাবাস। এতে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত। সরকারীভাবে না হলেও দেশটিতে বাংলাদেশের প্রায় ৫ লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া তুরস্ক হচ্ছে বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যতম প্রধান শক্তিশালী মুসলিম দেশ। এসব অবস্থাকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুরুত্ব কমে যাওয়ার লক্ষণ হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ওয়াশিংটন ডিসির উড্রো উইলসন সেন্টারের সিনিয়র বিশ্লেষক উইলিয়াম বি মাইলাম গতকাল নিউইয়র্ক টাইমসের লেখা এক নিবন্ধে বলেছেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি আলোচিত হত্যাকান্ডে জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার চেয়ে সুশাসনের বিষয়টিই বেশি জড়িত। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলগুলোকে প্রচ- চাপে রেখেছে। যার শুরু হয় ২০১৪ সালে সর্বশেষ নির্বাচনের পর। আর এ কারণেই জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে কার্যত এক দলের রাষ্ট্র বানিয়েছে। সরকারের কথিত আইন প্রয়োগের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো বিএনপি। রুটিনমাফিক বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর আইন বিভাগ ও পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, এর আগেও ইতালিয়ান নাগরিক তেভেল্লা সিজার খুনের ঘটনায় কূটনৈতিক চাপে পড়ে সরকার। যদিও সরকার এটিকে বিএনপি জামায়াত জোটের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখাতে সচেষ্ট ছিল। সম্প্রতি সমকামিতার অভিযোগে উগ্রগোষ্ঠীর হাতে খুন হওয়া আমেরিকান দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা জুলহাস মান্নানের খুন নিয়েও দেশটির প্রচ- চাপে রয়েছে সরকার। এ খুনের ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি জানতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোনে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানান খোদ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। এছাড়া জাতিসংঘসহ বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশগুলোও এসব খুনের বিষয়ে সরকারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
ইতালিয়ান নাগরিক তাবেল্লা খুনের পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ডাচ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা এ ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি দূতাবাসগুলো তাদের নাগরিকদের ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে চলাচলে সর্তক থাকতে বলে। শুধু তাই নয়, অপ্রয়োজনে বাইরে যেতে নিরুৎসাহিত করে যার যার নাগরিকদের। সূত্র জানায়, এখনও দূতাবাসগুলোর এ নির্দেশনা বলবৎ আছে।
তবে, নতুন করে সরকার আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে বলে মনে করেন না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান। তার মতামত, এক্ষেত্রে সরকার আগে থেকেই চাপে ছিল। বিশেষ করে ৫ জানুয়ারি ‘একতরফা’ নির্বাচনের পর থেকেই মূলত বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্রের এক ধরনের চাপের মধ্যেই রয়েছে সরকার।
তিনি ইনকিলাবকে বলেন, আমি মনে করি না বাংলাদেশের ওপর নতুন করে কোনো চাপ আছে। বরং বাংলাদেশের ওপর পরোক্ষভাবে বিদেশীদের একটা চাপ আছে। সেটা নতুন নয়, বরাবরই এ চাপ আছে।
ড. রেহমান বলেন, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য বন্ধু রাষ্ট্র চায়, বাংলাদেশে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন। যে নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ অবস্থানটা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরেও ছিল। এই অবস্থানটা এখনও আছে। সেই অবস্থানটা থেকে তারা এখনও সরে যায়নি। ফলে নতুন করে রাজনীতিতে সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে; তুরস্কের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ক্ষতিও হয়েছে। তাতে করে এই অবস্থান থেকে (কূটনৈতিক চাপ) কোনো পরিবর্তন আসেনি। অবস্থানটা যা ছিল, তাই আছে।  
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষক নাম না প্রকাশের শর্তে ইনকিলাবকে বলেন, যে হারে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে গুম, খুন বিশেষ করে জঙ্গি কর্মকা- চলছে তা রীতিমতো দেশ ও দেশের বাইরে সবার জন্যই চরম আতঙ্কের বিষয়। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ঘটনা খুব সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে সরকারের ওপর কূটনৈতিক চাপ নেমে আসাটা খুবই স্বাভাবিক। তাছাড়া ভৌগলিক ও রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের কয়েকটি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে অবশ্যই গুম-অপহরণ ও ভিন্নমতাবলম্বীদের খুনের বিষয়ে অতীতেও নানামুখী কূটনৈতিক চাপ দেখা গেছে। এবারও তার ব্যত্যয় হবে না।
তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকির হত্যাকা-ের রেশ শুকাতে না শুকাতেই আজও (গতকাল শুক্রবার) কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মেরে ফেলা হয়েছে তার সঙ্গে থাকা এক হোমিও চিকিৎসককে। এসব কি সকলের জন্য স্বস্তিকর?
এভাবে প্রতিদিন গুম-খুন বাড়তে থাকলে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরম সঙ্কটে পড়বে বলে উল্লেখ করেন এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কূটনৈতিক চাপে অস্বস্তিতে সরকার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ