Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদার ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে : নাসিম

প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেনÑ হত্যা, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির খেলা বন্ধ করুন। খেলতে চাইলে সোজা পথে আসুন। খেলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। ২০১৯ সালের নির্বাচনের মাঠে খেলার জন্য প্রস্তুতি নেন।
গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচা শিল্পকলা একাডেমির ৬নং গ্যালারিতে যুবলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম ও বিশ্বে আজ ধ্রুবতারা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের সপ্তাহব্যাপী সংবাদচিত্র প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, হরতাল, অবরোধ, মানুষ হত্যা, নৈরাজ্যসহ তাঁর সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এটাতেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাই বেগম জিয়া বলতে চাইÑ খেলতে চাইলে সোজা পথে আসুন। সোজা পথে খেলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সফল তো হতে পারছেন না। তাই ২০১৯ সালের নির্বাচনের মাঠে খেলার জন্য প্রস্তুতি নেন।
যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নাসিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এদের বিষয়ে রাজপথে থেকে যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সব স্তরের নেতা-কর্মীকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত-শিবিরের ষড়যন্ত্র শক্তভাবে মোকাবেলা করা হবে। মূলত এদের শক্তভাবে মোকাবেলা করতেই আমাদের মাঠে থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকবে। বিএনপি এর আগে নির্বাচনের যে দিবাস্বপ্ন দেখছে তা ভুল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি না এসে এখন তারা পদে পদে বুঝতে পারছে। কিন্তু এখন আর কোনো উপায় নেই। তাদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব আলম বলেন, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য যে পুরস্কার দেয়া হয় মূলত সেটাই হচ্ছে ‘শান্তিতে নোবেল’। এ ক্ষেত্রে বলতে হয় যে, বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যদি কেউ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য হন, তারা হচ্ছেন শেখ হাসিনা ও সন্তু লারমা। দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটিয়ে তারা দেশের তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছেন। তারা যদি নোবেল পুরস্কার না পান, তাহলে তাদের এ অবদান কোনো অবস্থায় খাটো হয়ে যাবে না।
তিনি বলেন, মাদার তেরেসা ও নেলসন ম্যান্ডেলাও নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু পুরস্কার পেয়ে তারা প্রেসিডেন্ট হবার খায়েস দেখাননি। তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস বা গ্রামীণ ব্যাংকের অবদানটা অর্থনীতিতে, কোন যুক্তিতে উনাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে আমার বোধগম্য নয়। সুদখোর মহাজন হিসেবে উনার খ্যাতির কথা বাদ দিলে বড়জোর উনাকে অর্থনীতিতে নোবেল দেয়া যেত বলে মন্তব্য করেন দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা।
যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদার ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে : নাসিম
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ