পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, সরকার পর্যায়ক্রমে ট্যাক্স কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আগামী বাজেটে প্রোডাকশন এবং বিনিয়োগ বাড়বে। একই সঙ্গে আগামী বাজেট ব্যবসাবান্ধব হবে। আমরা গত বছরও করপোরেট ট্যাক্সের ওপর ছাড় দিয়েছি। এবছরও আপনারা করপোরেট ট্যাক্সে ছাড় চেয়েছেন। ভারতের চেয়ে আমাদের করপোরেট ট্যাক্স অনেক কম। তবে সরকারের পর্যায়ক্রমে ট্যাক্স কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সেটি আমরা দেখবো।
তিনি বলেন, যারা ট্যাক্স দেন তারাই দিয়ে যাচ্ছেন। নতুন করদাতা তেমন বাড়ছে না। জেলা পর্যায়ে ট্যাক্স অফিস হয়েছে। আগামীতে এটি উপজেলা পর্যায়ে করা হবে। এক্ষেত্রে, বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উচ্চ হারে ট্যাক্স না নিলেও চলবে। আমাদের শিল্পায়নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আগামী অর্থবছর থেকেই নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন শুরু হবে। বৈঠকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভূক্তির জন্য ডিসিসিআই’র সভাপতি ওসামা তাসীর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে মোট ২০টি প্রস্তাব পেশ করে।
আলোচনাসভায় ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা এবং মোট আয় ৫ লাখ টাকা হলে ৫ শতাংশ, ৭ লাখ টাকা হলে ১০ শতাংশ, ৯ লাখ টাকা হলে ১৫ শতাংশ ও ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত হলে ২০ শতাংশ হারে ধার্য করা উচিত।
এছাড়া, দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে কর-বান্ধব কর নীতিমালার কোনো বিকল্প নেই। ডিসিসিআই’র সভাপতি উৎপাদনমুখী খাতে বিনিয়োগ, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি এবং পুনঃবিনিয়োগে ব্যবহৃত অর্থ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানান, যার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে এবং অর্থনীতির চাকা গতিশীল থাকবে।
বৈঠকে ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক রাশেদুল করিম মুন্না, হোসেন এ সিকদার, এনামুল হক পাটোয়ারী, এস এস. জিল্লুর রহমান, আন্দালিব হাসান, দ্বীন মোহাম্মদ, আশরাফ আহমেদ, নূহের লতিফ খান উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।