পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার পরিণতি শুভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সাগর-রুনি মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও গাজীপুরের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের মুক্তির দাবি ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন। সচেতন নাগরিক ফোরাম, গাজীপুর মহানগর-এর আয়োজন করে।
হান্নান শাহ বলেন, আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি তো করছেনই, আবার এখন ঘোষণা দিচ্ছেন, অমুক তারিখে উনি যদি না যান, তাহলে উনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। আমি এতোটুকু বলতে চাই, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। আবার সাবধান করছি সরকারকে- ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী জানে, আমাদের ওপর অনেক নির্যাতন-লাঞ্ছনা আমরা সইছি। তবে নেত্রীর ওপর যদি কোনো অন্যায় কিছু হয়, তাহলে তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা কিছুতেই তা মেনে নেবে না।
বিএনপি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সংগঠিত অভিহিত করে আসম হান্নান শাহ বলেন, এখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ। এখন আমাদের মধ্যে ভুয়া দল নেই। ভুঁইয়া দল (সংস্কারপন্থি) নাই। যদি আপনারা বুঝে থাকেন। মধ্যে মধ্যে শুনি আসল বিএনপির কথা। আমার দেখতে ইচ্ছা করে তারা কোথায়? আমার এক কর্মী ডলার একদিন আমাকে বলেছেন, স্যার আপনি আসার আগেই ওরা (আসল বিএনপি) যে কোথায় লুকিয়ে যায়, আমরা তাদের আর খুঁজে পাই না। এটা সকল নেতা-কর্মীর কথা।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া:
লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, এখন শুরু করেছে, বিএনপি-জামায়াত আমরা নাকী ইসলাম বিদ্বেষী। দেশবাসী জানেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে মুসলিম বিশ্বের সাথে বিশেষ সম্পর্ক রাখার যে বিধানটি সংযোজন করেছিলেন, আপনারা (বর্তমান সরকার) তা বাদ দিয়ে দিয়েছেন। সরকার বুঝতে পারছেনা যে জনগণ থেকে তারা কত বিচ্ছিন্ন। বিদেশে যারা আছেন, তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন একটা রাষ্ট্র নয়। তাই তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আসলাম চৌধুরী প্রসঙ্গ:
গ্রেফতার হওয়া দলের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এখন সরকার ধুয়া তুলেছেন -জনাব আসলাম চৌধুরী ইসরাইলের একজন রাজনীতিবিদের সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতে। এটাকে প্রচার করে দেয়া হলো যে, উনি নাকী ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন করছে, সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করছেন।
‘‘দেশের ৯০ ভাগ এখন মনে করে এই সরকারের যাওয়া উচিত। তারা সত্যিকারের নেতৃত্ব পেলে সংগ্রাম করতে প্রস্তুত।’’
আসলাম চৌধুরী বিএনপির হয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছেন- ক্ষমতাসীনদের এই অভিযোগ ‘ডাহা মিথ্যা কথা’ বলে মন্তব্য করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসম হান্নান শাহ। তিনি বলেন, আগ্রার মেয়র ফুলের মালা দিয়ে উনাকে (আসলাম চৌধুরী) ও ইসরাইলের ওই রাজনীতিবিদকে বরণ করে নিয়েছিলেন, ছবি উঠেছে। আমি শুধু এইটুক বলব, গোয়েন্দাদের আমরা হেন্ডেল করেছি দেশের ভেতরে ও বাইরেও। এভাবে সেমিনার করে মুক্ত আকাশের নিচে ফটো তুলে গোয়েন্দারা কাজ করে বলে আমি জানি না। তবে আওয়ামী গোয়েন্দারা করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হলো। আমরা মনে করি, ভারত হচ্ছে- এই সরকারের একমাত্র নির্ভরযোগ্য সমর্থক। তাদের মাটিতে এরকম উৎখাতের ষড়যন্ত্র হলো, বাংলাদেশ সরকার ভারতে জিজ্ঞাসা করে না কেনো? কেনো কূটনৈতিক প্রতিবাদ হলো না। ফিলিপাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কেনো সেই দেশের রাজধানী ম্যানিলায় ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করার পরও তার বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি- তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন হান্নান শাহ।
রাষ্ট্রদূত যখন ইসরাইলের সঙ্গে দহরম মহররম করে, তখন আপনারা (সরকার) মোসাদের গন্ধ পান না। এখন আপনারা মোসাদের গন্ধ পেলেন। আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, আমাদের দিকে কামান দাগানোর চেষ্টা করবেন না। নিজের ঘর সামলান। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আরিফ হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন-বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সাবেক এমপি এডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, গাজীপুর সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আহমেদ, ছাত্রদলের বর্তমান যুগ্ম-সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাবেক নেতা মনির হোসেন, মেহেদী হাসান এনিস, আনু মো. শামীম, মাহমুদুল হাসান রাজু, কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ, যুবদল নেতা জসীম উদ্দিন বাট, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য হাসিবুর রহমান মুন্না, কাজী সালাহউদ্দিন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।