পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ছোট-বড় সব ব্যবসায়ীর জন্য ব্যাংক সুদের হার নামিয়ে সিঙ্গেল ডিজিটে আনা দরকার বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁও সুপার স্টার গ্রুপ (এসএসজি) বার্ষিক বিজনেস কনফারেন্স-২০১৬তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মাতলুব আহমাদ বলেন, যারা বড় ব্যবসায়ী তাদের কাছ থেকে ব্যাংক সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট ধরা হয়। কিন্তু যারা অপেক্ষাকৃত ছোট ব্যবসায়ী তারা এ সুবিধা পাচ্ছে না। অথচ দেশের অর্জিত জিডিপির ৭০ শতাংশ আসে ক্ষদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত থেকে। তাই এ খাতের উন্নয়নে সবার জন্য সুদ হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনতে হবে।
নতুন ভ্যাট আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা ভ্যাট সংক্রান্ত জয়েন্ট কমিটি ১১ বার বৈঠক করেছি। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়িয়েছে। এখন নতুন ভ্যাট আইন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন। আশা করি, তিনি এমন কোনো সিদ্ধান্ত দেবেন না যা ব্যবসায়ী সমাজের ক্ষতি হয়। আমরা আশা করছি ভ্যাট আইন ব্যবসায়ী-বান্ধব করা হবে।
মাতলুব আহমাদ বলেন, ভ্যাট আইন ব্যবসায়ী-বান্ধব হলে জেলায় জেলায় স্থানীয় শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠবে। যা দেশের মূল উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা জেলায় জেলায় শিল্পকারখানা গড়ে তুলুন। যত বেশি লোকাল ইন্ডাস্ট্রি করবেন তত বেশি সরকার আপনাদের সহায়তা করবে। এসএসজি মালিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা ভেনডার ডেভলপমেন্ট করে সামনে এগিয়ে যান। বেশি বেশি পণ্য রপ্তানি করুন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট হোসেন খালেদ বলেন, আমাদের জিডিপিতে ৭০ শতাংশ অংশগ্রহণ হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। তবে এ খাতের বেশিরভাগই করের আওতায় আসছে না। নানা ভীতির কারণে এমনটা হচ্ছে। এ ভীতি দূর করের জিডিপিতে-৯০ শতাংশ অংশগ্রহণের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এতে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে তেমনি দেশের অর্থনীতি আরও উজ্জ্বল হবে। এ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সুপার স্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী মোহাম্মদ ইব্রাহীম তাদের কোম্পানির বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, আমরা গ্রাহকদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে টেকসই পণ্য উৎপাদন করছি। এ ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ভবিষ্যতে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
কনফারেন্সে অন্যদের মধ্যে এসএসজি গ্রুপ ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হারুন অর রশিদ, গ্রুপ চিফ মার্কেটিং অফিসার আফতাব মাহমুদ খুরশিদ ছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।