পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পহেলা বৈশাখে কঠোর নিরাপত্তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হবে বাংলা নববর্ষ-১৪২৬। বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও শৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে দিবসটি উপলক্ষে বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে প্রশাসন। পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ের মনিটরিং এর মাধ্যমে ১৪ এপ্রিল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে। এদিন বিকেল ৫টার পর ক্যাম্পাস এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উৎসবের দিন ক্যাম্পাসে কোন ধরণের মুখোশ পরা, ব্যাগ বহন করা এবং ভুভুজিলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সুষ্ঠুভাবে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঢাবি ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দীন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নববর্ষের দিন সকল ধরনের অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে ভুভুজিলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। নববর্ষের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এদিন ঢাবি ক্যাম্পাসে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। ৫টার পর কোনভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে। নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোন গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোন ধরণের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোন ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধুমাত্র নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেইট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।
নববর্ষের দিন জনসাধারনকে বিকল্প পথ দিয়ে ক্যাম্পাসে আসার ও বের হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পহেলা বৈশাখে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগত ব্যক্তিবর্গ সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য চারুকলা অনুষদ সংলগ্ন ছবির হাটের গেইট, বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বের হওয়ার পথ হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট, রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেইট ও বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ব্যবহার করতে পারবেন। ঢাবির হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, টিএসসি সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশে-পাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা।
বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সমন্বয় ও দুইটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্মসূচি পরিচালনার উদ্দেশ্যে সভায় প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনকে সদস্য-সচিব করে ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও দুইটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- শৃঙ্খলা উপ-কমিটি ও মঙ্গল শোভাযাত্রা উপ-কমিটি। ৪১ সদস্যবিশিষ্ট শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে এবং সদস্য-সচিব করা হয়েছে সহকারি প্রক্টর মো. আবদুর রহিমকে। অন্যদিকে, ৫১ সদস্যবিশিষ্ট মঙ্গল শোভাযাত্রা উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য-সচিব করা হয়েছে যথাক্রমে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন ও সহকারি প্রক্টর মো: নাজির হোসেন খানকে। সভায় উপ-কমিটিসমূহকে আগামী সাত দিনের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন করে ভিসি অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।