পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির উদ্দেশে বলেছেন, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করে নিজ দলের নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। আর্তপীড়িতদের পাশে দাঁড়ান এবং নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হোন। যিনি নির্মাণ বিধিমালা মানবেন না, তিনি নিজেই বিপদে পড়বেন।
গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ মহানগর দক্ষিণ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আখতার হোসেন, চিত্রনায়িকা নূতন, কণ্ঠশিল্পী এসডি রুবেল।
ঢিল ওপরে ছুড়লে নিজের গায়ে এসে পড়ে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, সরকারের অবহেলায় বনানীর টাওয়ারে আগুন লেগেছে। অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার সহযোগীদের খোঁজা হচ্ছে।
সরকার সমরাস্ত্র কেনে কিন্তু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কেনে না- বিএনপির এ অমূলক অভিযোগের জবাবে আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, ‘আমরা কি সমরাস্ত্র কেনা বন্ধ করে দেবো? তারা কি জানে না, সেনা সদস্যদের পাশাপাশি শান্তিরক্ষায় ব্যবহৃত সমরাস্ত্রের জন্যও জাতিসংঘ থেকে দেশ অর্থ উপার্জন করে!’ বলেন মন্ত্রী। সেই সাথে তিনি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, ২০০৮ সালের ২০৮টি ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা বেড়ে এখন ৪০২টি হয়েছে, ৪ হাজার অগ্নিনির্বাপক জনবল বেড়ে প্রায় ১১ হাজার হয়েছে, কেনা হয়েছে ৪৯ পদের নতুন সরঞ্জামাদি, গত ১০ বছরে দেশের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা বেড়েছে আড়াই গুণ। ড. হাছান মাহমুদ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি পরম শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাঙালি অর্জন করেছে স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে কয়েক দশক আগেই বাংলাদেশ মালয়েশিয়া অথবা দক্ষিণ কোরিয়ার সমান সমৃদ্ধি অর্জন করত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন দেশের দায়িত্ব নেন তখন দেশের বৈদেশিক রিজার্ভ শূন্য, ৩ কোটি মানুষ গৃহহারা, ১ কোটি মানুষ শরণার্থী, চার দিকে লাখ লাখ শহীদ পরিবারের আহাজারি, আমাদের স্বাধীনতা চায়নি এমন বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর ষড়যন্ত্র- এসবের মুখে বঙ্গবন্ধু দেশ পুনর্গঠন করেছেন।
ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেশ পরিচালনার সাড়ে তিন বছরের মাথায় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৭.৪ শতাংশ, যা আমরা মাত্র ২ বছর আগে আবার অর্জন করতে পেরেছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির প্রথম ৫টি দেশের একটি। আমাদের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছে, ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।