পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বাকশাল আসবে কি-না এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি আওয়ামী লীগ। বর্তমান সরকার আবারও বাকশাল কায়েমের তোড়জোড় করছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অনুপস্থিতিতে এটি সম্পাদকমন্ডলীর প্রথম সভা। এর আগে গত ১৯শে মার্চ এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবর্তিত শাসন ব্যবস্থা (বাকশাল) কার্যকর থাকলে নির্বাচন নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকত না, প্রশ্ন উঠত না। বাকশাল সর্বোত্তম পন্থা ছিল। এরপর গত ২৭শে মার্চ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় বাকশাল যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের মানুষের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছিল দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ব্যবস্থা প্রবর্তন করে জাতির পিতা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে চেয়েছিলেন। যেন কারো কাছে হাত পাততে না হয়, বাংলাদেশ যেন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অশনি সঙ্কেত দেখতে পাচ্ছি। এখনকার যে পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি, বাকশালকে আইনগতভাবে বৈধ করার ব্যবস্থা করে ফেলেছে। এটা এদেশের মানুষের কাছে ভয়াবহ বার্তা নিয়ে আসছে। এ দেশের মানুষ কখনও একদলীয় ও এক ব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা মেনে নেবে না। বিএনপি মহাসচিবের এমন সমালোচনার প্রেক্ষিতে বাকশালের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর অবস্থান সম্পর্কে জানান মাহবুবুল আলম হানিফ। তিনি বলেন, বাকশাল আসবে কি-না এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ নেয়নি। এ বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তখন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য বাকশাল করা হয়েছিল। বর্তমান সরকারের ৫ বছর আছে। এ সময় অপ্রয়োজনীয় বিষয় আনার দরকার নেই। সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের জন্য দোয়া এবং আশু আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, আ খ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও আহমদ হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওসার, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।