পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের বিষয়টি ক্যাবল অপারেটেরদের আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার আইনত দন্ডনীয়। ক্যাবল অপারেটররা এ আইন মেনে চলার শর্তেই ব্যবসা পরিচালনায় নেমেছেন। পয়লা এপ্রিল থেকে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা সম্মেলন কক্ষে স¤প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র (ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার) আয়োজিত সঙ্কটে বেসরকারি টেলিভিশন সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজার সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, চ্যানেল ২৪-এর মালিক এ কে আজাদ, বেঙ্গল কমিউনিকেশন্সের নির্বাহী চেয়ারম্যান আফসার খায়ের মিঠু, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, রাহুল রাহা, শাকিল আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। তিনি তার প্রবন্ধে বলেন, বর্তমানে বেসরকারি টেলিভিশনগুলো নানা সঙ্কটে রয়েছে। তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই অপ্রত্যাশিতভাবে কর্মহীন হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। কোনো কোনো টেলিভিশন চ্যানেল আর্থিক ক্ষতির দোহাই দিয়ে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে শুধু একটি নোটিশ দিয়ে বার্তাকক্ষ গুটিয়ে ফেলছে। কোনো আগাম ঘোষণা ছাড়াই সাংবাদিক ও কর্মী ছাঁটাই করছে। আবার ছদ্মবেকারও আছে অনেক। যেমন- চাকরি আছে, বেতন নেই। কোনো কোনো চ্যানেল কর্তৃপক্ষ মাসের পর মাস সাংবাদিক ও অন্য কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না। কোনো কোনো চ্যানেল আবার বেতন কমিয়ে দিচ্ছে। চ্যানেলের সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু বিজ্ঞাপনের দরপতন হচ্ছে। বড় বড় কোম্পানির বিজ্ঞাপন চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। এর ফলে দেশীয় চ্যানেলগুলো আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়ছে। ইশতিয়াক রেজা বলেন, সামগ্রিকভাবে চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত গণমাধ্যম সঙ্কটে রয়েছে। গণতন্ত্রকে সংহত করতে গণমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের উদ্যোগ চাই। তিনি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক ইউনিয়ন করার তাগিদ দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে জনপ্রিয় হওয়ায় এ দেশের কিছু প্রতিষ্ঠানও সেই চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এতে করে দেশি টিভি চ্যানেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আইনের প্রয়োগ হলে দেশি চ্যানেলগুলো বছরে ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা পাবে বলে আশা করা যায়। এ সময় ক্যাবল সংযোগে রাষ্ট্রীয় চ্যানেলগুলোর পরই বেসরকারি দেশি টিভি চ্যানেলগুলোকে তাদের সম্প্রচারের তারিখ অনুযায়ী ক্রমে রাখার বিধিটির কথাও উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ নিজেই বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে সেমিনারে বলেন, চ্যানেলের সংখ্যা বৃদ্ধি, বিজ্ঞাপনের বাজার ছোট হওয়া, অনলাইনে বিজ্ঞাপন বৃদ্ধি ও অনলাইন পত্রিকাতেও ভিডিও সম্প্রচার বেসরকারি টিভিগুলোর সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়গুলোকে যুগোপযোগী আইন ও ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাধানে সকলের সহায়তা প্রয়োজন। উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি উন্নত জাতি গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত জাতি গড়তে বস্তুগত উন্নতির পাশাপাশি আত্মিক উন্নয়ন প্রয়োজন। আর টিভি চ্যানেলগুলো এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। জনগণ ও নতুন প্রজন্মের মনে বিরূপ প্রভাব উদ্রেককারী কোনো কিছুর সম্প্রচার সমীচীন নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।