Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : আর্সেনিকমুক্ত দেশ গড়তে হবে

প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশে এখনো প্রায় ২ কোটি মানুষ আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে। এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ আর্সেনিকজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। আর্সেনিকজনিত নানা রোগে মানুষের এই মৃত্যু নিঃসন্দেহে দেশের জন্য উদ্বেগজনক। তাই মানুষ যাতে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান না করে; সেজন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। যদিও সরকার ইতিপূর্বে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল, কিন্তু তাতে তেমন সুফল পাওয়া যায়নি। যাই হোক, আর্সেনিক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এবং আর্সেনিকজনিত নানা রোগে আক্রান্ত মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া এখন সময়ের দাবি। বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. মানিক উল্লাহ
গ্রাম : মাজগ্রাম, ডাকঘর : বেতিল হাটখোলা,
থানা : এনায়েতপুর, জেলা : সিরাজগঞ্জ।

 


স্থূলতা প্রতিরোধে সচেতনতা প্রয়োজন
এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজন বিবাহিত নারীর মধ্যে একজন স্থূলকায় বা অধিক ওজনের অধিকারী। সম্পদের পরিমাণ, শিক্ষার অবস্থা, টেলিভিশন দেখা ইত্যাদি বিষয় স্থূলতার কারণ। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) একটি নতুন গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। শহরে বসবাসরত এবং কর্মজীবী নন, এমন নারীদের স্থূলকায় হওয়ার ঝুঁকি বেশি। শহর ও গ্রাম উভয় জায়গার ধনী ও খাদ্য সুরক্ষিত পরিবারের নারীরা অধিক ওজন ও স্থূলকায় হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন। ঐতিহ্যগতভাবে স্থূলতা প্রধানত ধনী দেশগুলোর সমস্যা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেও এর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। স্থূলতা মোকাবিলায় বিদ্যালয়ে, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে স্থূলতার পরিণতি, শারীরিক কর্মকা-কে উদ্বুদ্ধকরণ, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও স্থূলতা প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা দরকার। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
অমিত বণিক
কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ।


বিদ্যালয়ের পরিবেশ
‘আমাদের স্কুল, আনন্দের এক রঙিন ফুল’Ñ কথাটা রাষ্ট্রীয় স্লোগান হলেও হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বাস্তবতা এর বিপরীত। সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করা যদি শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এখানে প্রতিষ্ঠানগুলোর শৌচাগার ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই অথবা থাকলেও এগুলোর অবস্থা এত শোচনীয় যে, তা থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। লোকালয়ের বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বাদ দিলে সড়ক সংলগ্ন ও ব্যস্ততম এলাকার স্কুলগুলো আবর্জনাপূর্ণ। ব্যস্ত এলাকায় সড়ক ও বাজার সংলগ্ন বিদ্যালয়গুলোর প্রায়ই থাকে না কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ও ফটক; থাকলেও ভুক্তভোগী জনগণ জরুরি প্রয়োজনে এগুলো ভেঙে ফেলেন, নেই কোনো নিরাপত্তা প্রহরী। ফলে রাতের আঁধার নামার সঙ্গে সঙ্গেই এসব স্কুলে বেড়ে যায় অবৈধ জুয়ার আড্ডা। মাদকসেবী ও প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে আসা মানুষের বিচরণ শহরের কেন্দ্রস্থলে এবং লাগোয়া সড়ক হওয়ার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান মলমূত্র ত্যাগের আদর্শ স্থান হয়ে ওঠে! ফলে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অস্বস্তিকর বিষয়ের মুখোমুখি হয়ে থাকেন এবং বিঘœ ঘটছে শিক্ষা দান-গ্রহণের পরিবেশ। উপজেলা সদর তথা চুনারুঘাট পৌর এলাকায় অবস্থিত একটি সরকারি কলেজ, চারটি মাদ্রাসা, একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দুটি উচ্চ বিদ্যালয়, পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অন্তত দশটি কিন্ডারগার্টেনের সবকটির শৌচাগার ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক এবং অস্বাস্থ্যকর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা, প্রশিক্ষণ ও নির্বাচনী কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আশরাফুল ইসলাম রাসেল
চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিঠিপত্র : আর্সেনিকমুক্ত দেশ গড়তে হবে
আরও পড়ুন