Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনাঞ্চলে ৭টি নতুন ফায়ার স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা

প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : পদ্মা সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক শিল্পায়নের সম্ভাবনা এবং ঘনবসতি বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে অগ্নিকাÐের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সুন্দরবনে দু’টিসহ খুলনাঞ্চলে নতুন করে ৭টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সূত্র জানান, শহরতলীর জিরোপয়েন্ট, ফুলতলা উপজেলা সদর, কাটাখালি, মংলার দিগরাজ, মংলার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগে দু’টিসহ মোট ৭টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, নতুন নতুন আবাসিক এলাকা বৃদ্ধি এবং খুলনা শহর এলাকা স¤প্রসারণ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ জনগুত্বপূর্ণ এলাকা হওয়ায় জিরোপয়েন্টে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। খুলনা-যশোর মহাসড়ক সংলগ্ন এ অঞ্চলের বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র, দেশের সর্ববৃহৎ নার্সারী এবং লবণ কারখানাসহ একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকলেও ফুলতলা উপজেলায় কোন ফায়ার স্টেশন নেই। এ কারণে এ উপজেলায়ও নতুন স্টেশন নির্মাণের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। খুলনা-বাগেরহাট-মংলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় কাটাখালী এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মংলা, বন্দরের ওয়্যার হাউজ, সাইলো, রিসোর্ট এরিয়া, একাধিক সিমেন্ট ও এলপি গ্যাস প্ল্যান্টসহ ব্যাপক শিল্পায়ন হওয়ায় মংলার দিগরাজ এবং সরকারের নতুন পরিকল্পনায় মংলায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের ঘোষণা থাকায় সেখানেও আধুনিক ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই এলাকায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাপক শিল্পায়নের সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে, বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনে বারবার আগুন লাগলেও সেখানে কোনধরণের ফায়ার স্টেশন নেই। সুদূর খুলনা এবং মংলা থেকে গিয়ে আগুন নেভাতে অনেক বেগ পেতে হয়। এছাড়া ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অধিক সময়ের প্রয়োজন হওয়ায় আগুনে ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে যায়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সুন্দরবনকে নিরাপদ রাখতে বনবিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে ডুবুরিসহ আলাদা দু’টি রিভার ফায়ার স্টেশন নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শেখ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, নতুন ফায়ার স্টেশন নির্মাণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত তথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স’র প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে। এসব তথ্যেও প্রেক্ষিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে স্থান নির্ধারণ এবং বাজেট প্রেরণ করা হবে। তবে সুন্দরবনে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের বিষয়ে বন বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হবে। প্রথম শ্রেণির এবং আধুনিক (এ গ্রেড) একটি ফায়ার স্টেশন নির্মাণের জন্য ১০ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দুর্ঘটনাবশতঃ অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটলেও ক্ষতির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনাঞ্চলে ৭টি নতুন ফায়ার স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ