পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ট্যাংক বানানো লাগবে বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার নেপথ্যে ‘অসহিষ্ণুতাই’ দায়ী। তিনি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা উপমহাদেশের সংস্কৃতি। বিদেশে কিন্তু আমরা এসব দেখি না। সেখানে নির্বাচন কেন্দ্র দেখিয়ে দিতে হয়তো একজন ট্রাফিক পুলিশ আছে। আর্মস (অস্ত্রধারী) পুলিশ ব্যাটালিয়ন থাকে না। আমাদের তো মনে হচ্ছে যে নির্বাচন করার জন্য ট্যাংক বানানো লাগবে!
গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ এ মন্তব্য করেন। পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কমিশনের ক্ষমতা বাড়ানো উচিত কি না এমন এক প্রশ্নের উত্তরে সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন বলেন, পশ্চিমবঙ্গেও প্রচুর সহিংসতা হয়েছে। এটা বোধহয় আমাদের উপমহাদেশীয় সংস্কৃতি।
রাজনৈতিক ব্যানারে নির্বাচন না হলে সংঘাত ও প্রাণহানি কমতো কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা বলা যায় না। অতীতেও প্রচুর সংঘাত হয়েছে। পরিসংখ্যান দিয়ে সবসময় মেলানো যায় না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এতই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ যে এক ভোটের এদিক-ওদিক হলেই লোকে আরেকজনের মাথায় বাড়ি মারতে যায়। আর আমাদের দেশে অসহিষ্ণুতা এখন বেশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আমরা কেউ কারো কথা শুনতে চাই না।
কাজী রকিবউদ্দিন বলেন, আমরা নিজেরাই সব চাইতে বেশি জানি এবং আমারটাই শেষ কথা। আমিই সব চাইতে উপযুক্ত ক্যান্ডিডেট। লোকে তো আমাকে ভোট দিবেই। ভোটার কাকে ভোট দিল আমি কিন্তু সেটা কেয়ার করছি না। আমি হচ্ছি বিজয়ী। আমি যদি না জিতি, খারাপ হয়েছে। তা হলে আমি লাঠি নিয়ে আসছি।
ভোট কেন্দ্র দখল এবং নির্বাচনের পরিবেশ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। তবে কিছু ঘটনা মিডিয়ায় বারবার দেখানো নির্বাচন সম্পর্কে খারাপ ধারণা তৈরি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, আজকের দিনে বাংলাদেশের মিডিয়া অত্যন্ত সবল। আপনাদের উপস্থিতি সব জায়গায়। নির্বাচনের দিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। আপনারা ভোট কেন্দ্রের ছবি, ভোট গণনা এবং ভোট কেন্দ্রের ভিতরে লাইনের ছবি। ভোট কিভাবে দেয়া হচ্ছে তা দেশবাসীকে জানান। সেখান থেকে আপনাদের প্রতিবেদকরা আসল ঘটনাটুকু বলেন।
কাজী রকিবউদ্দিন বলেন, বেশিরভাগ জায়গাতে সুদীর্ঘ লাইন। মহিলা, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীরা ভোট দিচ্ছে এ দৃশ্য আপনারাই দেখিয়েছেন। অবশ্যই বেশকিছু ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা-বেআইনী কাজ ইত্যাদি ঘটেছে। এবং সেগুলোও আপনারা দেখিয়েছেন। এই দু’চারটি ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটাকে বারবার দেখানোর ফলে সবার মনেই একটা ধারণা হয় সব জায়গাতেই খারাপ নির্বাচন হচ্ছে। তিনি বলেন, আসলে আপনাদের দেখানো ভিডিওগুলো যদি নিরপেক্ষভাবে আপনারাই দেখেন তাহলে উত্তরটা পাবেন। আশাকরি দেশবাসীও বুঝতে পারবে। সব জায়গায় দখল হচ্ছে না। যোগ দিলে দেখবেন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। চকরিয়ায় খুব সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্যেই দোষটা বেশি হচ্ছে।
প্রথম ধাপের পর রাতের বেলা ভোট কেন্দ্র দখলের মত ‘বিশ্রী ব্যাপার’ কমে এসেছে বলে দাবি করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, তৃতীয় ধাপে কয়েকটি হয়েছে। চতুর্থ ধাপে একটিও হয়নি। পঞ্চম ধাপের আগে এজন্যই আবার বেরিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠক করছি। যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটতে পারে। ভবিষ্যতে এরকম ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ রোধ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সিইসি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব সিরাজুল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমীন, সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার, ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার কে এম হাফিজ আক্তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।