Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৬৬ আরোহীসহ মিসরীয় বিমান ভূমধ্যসাগরে বিধ্বস্ত

প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : প্যারিস থেকে কায়রো যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়ার পর মিসরের একটি বিমান ভূমধ্যসাগরেই বিধ্বস্ত হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ এ খবর জানিয়েছেন। প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন যত তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর আগে মিসরে বিমান এয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলো যে ৬৬ জন যাত্রী ও ক্রুসহ তাদের কায়রোগামী একটি বিমান নিখোঁজ হয়েছে। পরে বিমানটির অনুসন্ধান অভিযানে ফ্রান্স নৌকা ও বিমান পাঠিয়ে সহায়তার ঘোষণা দেয় এবং কায়রোতে ফরাসি দূতাবাসে ক্রাইসিসি সেল খোলা হয়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জরুরি বৈঠকে বসেন।
এদিকে গ্রীসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পানোস কামেনোস জানিয়েছেন, প্যারিস থেকে কায়রো যাওয়ার পথে মিসরের বিমানটি ধসে পড়ার আগে আকাশে দুইবার চক্কর খেয়েছিল।
তিনি বলছেন, এয়ারবাস এ৩২০ বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবার আগে ৯০ ডিগ্রী বামে, আর ৩৬০ ডিগ্রী বামে ঘুরে দুইবার চক্কর বা ডিগবাজি খায়। এরপরে বিমানটি বিশ হাজার ফিট ওপর থেকে ভূমধ্যসাগরে খসে পড়ে। গ্রীসের কার্পাথোস দ্বীপের কাছে বড় ধরনের তল্লাশি অভিযানের প্রস্তুতি চলছে। গ্রীস আর মিসরের সেনাবাহিনী এই তল্লাশিতে অংশ নিচ্ছে। বিমান আর জাহাজ পাঠাচ্ছে ফ্রান্সও। কায়রোতে ফরাসি দূতাবাসে খোলা হয়েছে ক্রাইসিস সেল। বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে কায়রো সময় রাত আড়াইটায় মিসরের আকাশসীমায় প্রবেশের আগমুহূর্তে তাদের এয়ারবাস এ৩২০ বিমানটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিমানটিতে তিনটি শিশুসহ ৬৬ জন যাত্রী ছিলেন। এছাড়া ছিলেন সাত ক্রু ও তিনজন নিরাপত্তা কর্মী। যাত্রীদের মধ্যে ৩০ জন মিসরের, ১৫জন ফ্রান্সের ও দু’জন ইরাকি ছাড়াও ব্রিটেন, কানাডা, বেলজিয়াম, কুয়েত, সউদী আরব, আলজেরিয়া, সুদান, শাদ ও পর্তুগালের নাগরিক রয়েছেন। কর্মকর্তারা জানান, কায়রো সময় ২টা ৪৫ মিনিটে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় ওই উড়োজাহাজটি মিসরের আকাশসীমা থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে আকাশে উড়ছিলো।
বিশ্বজুড়ে যাত্রীবাহী বিমানগুলোর গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিমানটি ছিল এয়ারবাস এ৩২০ বিমান।
প্যারিস সময় রাত এগারটায় ছেড়ে আসা বিমানটি রাত সোয়া তিনটায় কায়রো পৌঁছানোর কথা ছিল।
এদিকে গ্রীসের ক্রিট দ্বীপের কাছে বিমানের কিছু ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। এগুলো নিখোঁজ মিসরীয় বিমানটির অংশ বলেই ধারণা করা হচ্ছে। গ্রীসের একজন সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিমানটি যেখানে সমুদ্রে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেই তারা কিছু ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেয়েছেন। মিসরের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পেছনে কারিগরি ক্রুটির তুলনায় সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাবনাই বেশি বলে তারা মনে করে। মিসরের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী শেরিফ ফাথাই বলছেন, আমি এখনি নিশ্চিত করে কিছু বলবো না, তবে আপনারা যদি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন, তাতে এই ঘটনায় পেছনে সন্ত্রাসী হামলা বা এ ধরনের সম্ভাবনাই বেশী। গ্রীসের বিমান উড্ডয়ন কর্মকর্তারা বলছেন, বিমানটি যখন গ্রীসের আকাশসীমা প্রবেশ করে, তখন পাইলটের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে বলেই তিনি জানিয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পর তারা আবার পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু বিমানটি থেকে আর কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এর দুই মিনিট পরেই রাডার থেকে বিমানটি অদৃশ্য হয়ে যায়।
মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে আলাপের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফাসোঁয়া ওঁলাদ বলেছেন, এ ঘটনা কেন ঘটেছে, সেটা খুঁজে বের করা হবে। গ্রীসের কার্পাথোস দ্বীপের কাছে বড় ধরনের তল্লাশি অভিযানের প্রস্তুতি চলছে। গ্রীস আর মিশরের সেনাবাহিনী এই তল্লাশিতে অংশ নিচ্ছে। বিমান আর জাহাজ পাঠাচ্ছে ফ্রান্সও। কায়রোতে ফরাসী দূতাবাসে খোলা হয় ক্রাইসিস সেল।
বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে কায়রো সময় রাত আড়াইটায় মিসরের আকাশসীমায় প্রবেশের আগমুহূর্তে তাদের এয়ারবাস এ৩২০ বিমানটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সূত্র : এএফপি ও বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৬৬ আরোহীসহ মিসরীয় বিমান ভূমধ্যসাগরে বিধ্বস্ত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ